স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাঁকুড়া রানিগঞ্জ ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাইকে করে তিন ব্যক্তি মেজিয়ার নন্দনপুর বাজার থেকে নিজেদের বাড়ি ভাড়রা গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় গোস্বামী গ্রাম মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানিগঞ্জমুখী একটি ট্রাক্টরের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন তিনজনেই। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেজিয়া থানার (Mejia Police Station) পুলিশ। পুলিশের সহায়তায় তড়িঘড়ি তাঁদের মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অজয় রায় ও অদৈত্য রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় রায়ের জেসিপি অপারেটারের কাজ করতেন। অপর ব্যক্তি অদৈত্য রায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন বলে জানা যায়। আহত আরেক ব্যক্তিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Bankura Sammilani Medical College & Hospital) চিকিৎসার জন্য পাঠান হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ার কারণে সেখান থেকে কলকাতা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে সঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তার তদন্ত শুরু করেছে মেজিয়া থানার পুলিশ (Mejia Police Station)।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রানিগঞ্জে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। রানিগঞ্জে মর্মান্তিক এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পণ্যবাহী টোটো চালকের। দুর্ঘটনাটি ঘটে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ি এলাকার মঙ্গলপুর জুটমিল সংলগ্ন দু’নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃত টোটো চালকের নাম শাদবি আলম। জানা যায়, ওই টোটো চালক এদিন রানিগঞ্জ থেকে পণ্য বোঝাই করে অন্ডাল অভিমুখে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই টোটোর পেছনে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন টোটো চালক, পাশাপাশি টোটোটিও ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পুলিশকে খবর দিলে তড়িঘড়ি পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার দিন দুপুর নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।