এদিন বাঁকুড়ায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির পরও শিক্ষা দফতরের যে কোনও বোধদ্বয় হয়নি, এটাই প্রমাণ করছে D.El.Ed পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া ৷ পশ্চিমবঙ্গ একেবারে দুর্নীতির গোডাউন হয়ে গিয়েছে৷ এই সরকার চালানোর ক্ষমতা নেই এদের৷” তিনি আগামিকাল শিক্ষা দফতরের কাছে এই ঘটনা কীভাবে হল জানতে চাইবেন বলেও দাবি করেন৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের থেকে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের (State Education Department) কাছে অবশ্যই জানতে চাওয়া হবে এটা কী করে হল।
এর তদন্ত হওয়া দরকার বলেও দাবি করে তিনি বলেন, “এর একটা রিপোর্ট যেন শিক্ষা দফতর দ্রুত পাঠায় এবং আজকের মধ্যেই এই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা উচিত৷ আগামী দিনে যেন ঠিকভাবে পরীক্ষা হয়৷” এখানেই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী৷ টেনে আনেন শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গও৷ তিনি বলেন, “পরে হয়তো জানা যাবে টাকার বিনিময়ে ফাঁস হচ্ছে প্রশ্নপত্র, যেমন করে কিছু লোক চাকরি পেয়েছিল৷”
অস্বস্তি যেন কিছুতেই ছাড়ছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Board Of Primary Education)। নিয়োগ বিতর্কের পর ফের একবার অস্বস্তিতে শিক্ষা পর্ষদ৷ এবার উঠল D.El.Ed পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ।
আজ সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে D.El.Ed পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিন হঠাৎই অভিযোগ ওঠে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক আগেই প্রশ্নপত্র বৈদ্যুতিক মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আসল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং বৈদ্যুতিক মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র একই বলে দাবি করেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। পরীক্ষার আগে কী ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক মহলেও। স্বচ্ছতার স্বার্থে আবার পরীক্ষা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন অনেকে। সংবাদমাধ্যম থেকে বিষয়টি জানা গেলেও, এনিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের৷