উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতে এদিন ডিএ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। এই শুনানির দিকেই তাকিয়ে ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, তাঁরা এদিনও নিরাশ হলেন। ডিএ নিয়ে সোমবারও কোনও শুনানি হল না শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই মামলা লড়ছে সরকারি কর্মচারি পরিষদ, ইুনিটি ফোরাম ও কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লইজ। এই তিন সংগঠনের সদস্যরাই আশা করেছিলেন এদিন মামলায় রায় তাদের পক্ষেই যাবে। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে যে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তা বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘভাতা (DA) মিটিয়ে ফেলতে হবে। সেই আবেদন পুর্নবিবেচনা করার আর্জি জানালেও রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিকে তিন মাসের মধ্যে অর্থ না মেটানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলি। ৪ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত অবমাননা মামলায় হলফনামা জমা দিয়েছিল রাজ্য। অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয় দাবি করে অবশেষে সর্বোচ্চ আদালতেরও দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ (DA) পান। রাজ্য সরকার মাঝে ডিএ (DA) বাড়ালেও এখনও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান।
সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল বলেন, “আমার মনে হয় রাজ্যের SLP খারিজ করবে সুপ্রিম কোর্ট, আমরা আশাবাদী। সুপ্রিম কোর্ট যদি রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে মত দেয় সে ক্ষেত্রে আর DA নিয়ে কোনও বাধা থাকবে না। DA নিয়ে যুদ্ধের একেবারে অন্তিম লগ্নে এসে গিয়েছি আমরা।” কিন্তু, এদিন ফের একবার শুনানি পিছনোয় কিছুটা নিরাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা।