Drug Cases : উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার বাংলার অন্যতম ‘ড্রাগ মাফিয়া’, কারবার চলত রাজ্যজুড়ে – kaliachak police arrested main accused for drug smuggling from uttar pradesh to bengal


West Bengal News উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলা। জাল বেছানো হয় মাদক ব্যবসার। তরতরিয়ে শিখরে ওঠে কোকেন, হেরোইন, ফেনসিডিল-এর রমরমা বাজার। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই ‘কিংপিন’ হয়ে ওঠে দেবেন্দ্র আহুজা ওরফে চিন্টু। অবশেষে পুলিশের জালে মাদক ব্যবসার মূল চক্রী। উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার (Kaliachak Police Station) পুলিশের একটি দল। মালদায় (Malda) নিয়ে আসা হয়েছে মাদক-মাফিয়াকে। আজ তাকে মালদা জেলা আদালতে (Malda District Court) তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Sand Smuggling : সরকারি ওয়েব পেজের আদলে ভুয়ো সাইট বানিয়ে বালি পাচার! বর্ধমানে ধৃত ৪
উত্তরপ্রদেশের আগ্রার প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা দেবেন্দ্র। দীর্ঘ দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অংশে মাদক ব্যবসা জাল বিছিয়েছিল সে। সম্প্রতি মালদার (Malda) বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদক এবং কালো টাকা উদ্ধার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। সম্প্রতি অলোক কুমার মণ্ডল নাম এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ (Kaliachak Police Station)। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ ড্রাগস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, অলোক নাম ওই ওষুধ ব্যবসায়ী সমস্ত নিষিদ্ধ মাদক কিনেছে মহম্মদ আজিজুর রহমান নাম এক কেমিস্টের কাছ থেকে। মহম্মদ আজিজুর রহমান কালিয়াচক বেঙ্গল ড্র্যাগ এজেন্সি নামে একটি ওষুধের দোকানও চালাতো। এরপর গত ২০ অক্টোবর মহম্মদ আজিজুরকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরেই মূল চক্রীর সন্ধান আসে তদন্তকারীদের আধিকারিকদের হাতে। মহম্মদ আজিজুরকে জেরা করেই বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাদক ব্যবসার মূল পাণ্ডা দেবেন্দ্রর খোঁজ পায় পুলিশ।

Dakshin 24 Pargana : কুলতলি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার দুষ্কৃতী, ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে দেবেন্দ্রই এই চক্রের মূল পাণ্ডা ছিল। উত্তরপ্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) মারফত দেবেন্দ্র মাদক, ফেনসিডিল পাচার করতো বাংলাদেশে। উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় দেবেন্দ্র’র ঠেক-এর খোঁজ পায় পুলিশ। একটি বিশেষ দল গঠন করে কালিয়াচক থানা (Kaliachak Police Station)। সেই দলই শনিবার গ্রেফতার করে দেবেন্দ্রকে। তাকে পুলিশি হেজফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কিভাবে এই পাচার চক্র কাজ করতো, এই চক্রের কানেক্টর হিসাবে আর করা জড়িয়ে রয়েছে, সে ব্যাপারেও সন্ধান চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Fake Call Centre : টার্গেট বিদেশিরা! হাওড়া হোটেলে ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে চলত টাকা হাপিশের কারবার
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশে এইসব মাদক পাচারের সেফ করিডোর হিসাবে ব্যবহার করা হয় বাংলাকে। বিশেষত কোচবিহার, দিনাজপুর, মালদা থেকেই হামেশাই ফেনসিডিল সহ একাধিক মাদক পাচারকারীদের আটক করার খবর উঠে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। মালদার কালিয়াচক, হাবিবপুর, গোলাপগঞ্জ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মাদক পাচারকারীরা। দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করার পর এ রাজ্যে মাদক ব্যবসার লাগাম অনেকটাই টেনে ধরা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *