স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত পিন্টু বাগ পিয়াসারায় গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার রাতে মোটরবাইকের পিছনের সিটে আরও দু’জনকে বসিয়ে স্থানীয় শ্মশান থেকে মৃতদেহ দাহ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় মারুতি গাড়িতে করে এক অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। BPR রোড এলাকায় আসতে পিন্টুর মোটরবাইকটিকে সজোর ধাক্কা মারে মারুতি গাড়িটি। পিন্টুসহ বাইকের অন্যান্য আরোহীরা ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। বাইকে ধাক্কা মারার পর ঘাতক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর থাকা একটি দোকানে ধাকা মারে। গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছে। গাড়িটিকে তারকেশ্বর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন এবং তারকেশ্বর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু পাসওয়ান এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “বাইকে তিনজন শ্মশান থেকে মৃতদেহ দাহ করে আসছিল, তখনই মারুতির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বাইক ও মারুতির গতি তীব্র ছিল। দুর্ঘটনার পর মারুতি গাড়িটি একটি চায়ের দোকানে ধাক্কা মারে। সেই সময় দোকানে কেউ ছিল না। দোকানের উনুন ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে সেই রাস্তাটি সংকীর্ণ ছিল। গাড়ি-বাইক উভয়ের গতি বেশি থাকার কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় নিহত পিন্টু বাগের বড় ছেলে আকাশ বাগ বলেন, “বাবা মৃতদেহ দাহ করতে শ্মশানে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার সময় খানিক নেশা করেই মোটরবাইক চালাচ্ছিল, তাই গাড়ি গতি বেশি ছিল। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আসি। এসে দেখলাম বাবার পা ভেঙে গিয়েছে। বাবা জানিয়েছিল তাঁর পেটে ব্যথা করছে। স্যালাইন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়।”