বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) হতে পারে। ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের জন্য রাজ্যে পা রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এমনকী, ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এবার এনিয়ে মহাগুরুর দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)।
হাইলাইটস
- ডিসেম্বরে রাজ্যে সরকার পড়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী
- রাজ্যে সরকার পড়ে গেলে রাজ্য ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
- মহাগুরুর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মিঠুনকে চ্যালেঞ্জ প্রসূনের
ডিসেম্বরে রাজ্য সরকার পড়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এমনকী, তৃণমূলের একাধিক সাংসদ ও বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রচারে গিয়ে এই মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মিঠুন চক্রবর্তীর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রসূন। তিনি বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তীকে চ্যালেঞ্জ করছি যদি তৃণমূলকে ডিসেম্বরে ফেলে দিতে পারেন তাহলে আমি শুধু সাংসদ পদ কেন, এই রাজ্য ছেড়েই চলে যাব। উনি খুব ভালো একজন অভিনেতা। খুব ভালো একজন মানুষ। কিন্তু, এই সব কথা ওঁর মুখে একেবারেই মানায় না। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন নেত্রী রয়েছেন সেখানে তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না।”
রাম-বাম মিলেমিশে এক!
পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় নির্বাচনে সিপিএম ও বিজেপিকে জোট করে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। যদিও স্থানীয় নেতৃত্বের মতে এটা কোনও রাজনৈতিক জোট নয়, মানুষের স্বার্থে এই জোট করা হয়েছে। আর বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। এ প্রসঙ্গে প্রসূন বলেন, “রাম বাম এখন মিলেমিশে গিয়েছে। তবে মিলে গেলেও তৃণমূলের কিছুই করতে পারবে না। কে কী অন্যায় করল সেটা মমতাদির গায়ে লাগতে পারে না। উনি একেবারে সাদা ঝকঝকে রয়েছেন।” এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুভেন্দুর কথা শুনে আমার খুব লাগে। বলছে তৃণমূলের সবাই চোর। এটা কখনও হতে পারে! আমিও তো তৃণমূলের একজন সদস্য, তাহলে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে দেখুক।”
এর আগে বালির একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল প্রসূনকে। তিনি বলেন, “শুভেন্দুর কী সুন্দর চেহারা ছিল। এখন একটা হনুমানের মতো হ্যাও হ্যাও হ্যাও হ্যাও করছে। কী রে ভাই! কী সুন্দর দেখতে ছিল। দিদির কাছে থাকো। ভালো খানা খাবে। ভালো থাকবে। আশীর্বাদ পাবে। দিদিকে প্রণাম করেছ। আর তারপর থেকেই কী সুন্দর লাগছে তোমার চেহারাটা।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ