মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কখনও দেবী দুর্গা, কখনও মা সারদা আবার কখনও মাদার টেরেসার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। এবার স্বামী বিবেকানন্দর (Swami Vivekananda) সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) তুলনা করলেন বিজেপি (BJP) নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। এদিকে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও।

হাইলাইটস
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও মা সারদা আবার কখনও মাদার টেরেসার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তৃণমূল নেতারা
- স্বামী বিবেকানন্দর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর তুলনা করেন রাহুল সিনহা
- তৃণমূলের দাবি, স্বামীজি বেঁচে থাকলে মুখ লোকানোর জায়গা পেতেন না
স্বামীজির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তুলনা!
রবিবার ICCR-এ বিজেপির SC মোর্চার আয়োজনে সংবিধান দিবসের একটি অনুষ্ঠান ছিল। আর সেখানেই স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সেই অনুষ্ঠানে রাহুল সিনহা বলেন, “কলকাতার নরেন গুজরাটে নরেন্দ্র মোদী রূপে জন্ম নিয়েছেন। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, নরেন্দ্র মোদী নরেনের অবতার। স্বামী বিবেকানন্দের দেখানো পথেই মোদী চলছেন। যে যে কাজ উনি করতে বলেছিলেন, সেগুলোই প্রধানমন্ত্রী করছেন।” তবে এনিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরও অনড় রাহুল সিনহা।
স্বামীজির সঙ্গে তুলনার ব্যাখ্যা দিলেন রাহুল
এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই সময় ডিজিটালকে রাহুল সিনহা বলেন, “মা সারদার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও কিছুর সঙ্গেই মা সারদার কোনও মিল নেই। স্বামী বিবেকানন্দ ভবিষ্যৎবাণী করে বলেছিলেন যে ভারত আবার বিশ্বের জগৎগুরুর আসনে বসবে আর বিশ্বকে মুক্তির পথ দেখাবে। তাঁর এই ভবিষ্যৎবাণী ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। কারণ ভারত ভিখারি ভারতে পরিণত হয়েছে। মনমোহন সিংয়ে সরকারে প্রতিদিনই একটা করে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু, যখন তিনি দেখলেন যে তাঁর এই ভবিষ্যৎবাণী ব্যর্থ হচ্ছে তখন কলকাতার নরেন, নরেন্দ্র রূপে এবার গুজরাটে জন্ম নেন। আর জন্ম নিয়ে এই ভিখারি ভারতকে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে পৌঁছে দিয়েছেন। বিশ্বযুদ্ধ লাগার কথা একাধিকবার জানিয়েছেন বহু রাষ্ট্রনেতা। কিন্তু, সেই পতাকার তলায় বিভিন্ন দেশের মানুষ আশ্রয় নিয়ে ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরেছেন। এমনকী, করোনার সময়ও একাধিক দেশ ভারতের উপর নির্ভর করেছিল। এই ধরনের একাধিক উদাহরণ দেখলে বোঝা যাবে যে স্বামীজির সেই দিনের কথা বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে।”
রাহুল সিনহার এই মন্তব্যের পর এর তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, “বিবেকানন্দ বেঁচে থাকলে মুখ লুকনোর জায়গা পেতেন না।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ