ব়্যাগিংয়ের বলি? হস্টেলে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, বিক্ষোভে উত্তাল বরানগর A student dies mysteriously in college hostel at Baranagar


বরুণ সেনগুপ্ত: কলেজের হস্টেলে ব়্যাগিং, শারীরিক নির্যাতন? বরানগরে ছাত্রের মৃত্যুতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পরিবারের লোকেরা। বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতালে দিনভর বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। মৃতের ঘরে পাওয়া গেল সুইসাইড নোট!

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রিয়রঞ্জন সিং। বাড়ি, বিহারে। বরানগরের বনহুগলীতে বিশেষ সক্ষমদের হাসপাতালের ছাত্র ছিলেন তিনি। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন। কীভাবে মৃত্যু? সহপাঠীদের দাবি, আজ, মঙ্গলবার কলেজে নবীণবরণ হওয়ার কথা ছিল। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানে মহড়া চলে হস্টেলে। এরপর হস্টেলে নিজের ঘরে চলে যান প্রিয়রঞ্জন। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, তাঁর ঘরের দরজা ভিতরে থেকে বন্ধ! বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। শেষপর্যন্ত যখন ঘরের দরজা ভাঙা হয়, তখন ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: Malda Child Death: বাবা কাজে ব্যস্ত, খেলতে বেরিয়ে ইটভাটার জলভর্তি খাদে ডুবে মৃত্যু ২ শিশুর

এদিকে এই ঘটনার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাসপাতালের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, হস্টেলের ঘরের দরজা ভাঙার পরেও নাকি বেঁচে ছিলেন প্রিয়রঞ্জন! কিন্তু হাসপাতালে আপদকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই।  এমনকী,  ওই পড়ুয়াকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায়নি। তারপর? সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় প্রিয়রঞ্জনের। শেষ খবর অনুযায়ী, বরানগরের বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতালে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলছে এখনও।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই বিহার থেকে বরানগরে পৌঁছেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই কলেজে হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছিলেন প্রিয়রঞ্জন। অ্যান্টি ব়্যাগিং সেলে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বরানগর থানায়।

এর আগে, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নার্সিং পড়য়ার রক্তাক্ত দেহ। অশোকনগর হাসপাতালের নার্সিং পড়ছিলেন উদ্ধব সরকার। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ি মালিকের দাবি, উদ্ধবের সঙ্গে একই ঘরে থাকত বিক্রম নামে আরও একজন। তাঁদের দু’জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ঘটনার দিন সকালে ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান বিক্রম। এরপর দরজা ভেঙে যখন ঘরের ঢোকেন, তখন ঘাটের তলায় উদ্ধবের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির মালিকই।

এদিন সকালে উদ্ধবের মৃতদেহ পৌঁছয় গঙ্গারামপুরের বাড়িতে। অভিযুক্তের বাড়ির সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, শনিবার রাতে শেষবার বাড়িতে ফোন করেছিলেন উদ্ধাব। রবিরার সকাল থেকে তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি ওঠেছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *