পুলিশ সূত্রে খবর, খোয়াজ মহম্মদপুরের বাসিন্দা শেখ ফরিদ গত ২৭ শে অক্টোবর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি পোস্ট করে। সূত্র মারফত সেই পোষ্টের স্ক্রিন শট গিয়ে পৌঁছয় দুবরাজপুর থানার (Dubrajpur Police Station) এক আধিকারিকের কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর হয় পুলিশ। স্ক্রিনশট হাতে পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে দুবরাজপুর থানা এলাকার রেংনা মোড় থেকে সেখ ফরিদকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। তাঁর কাছে থেকে একটি সেভেন এমএম পিস্তল ও দু রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শেখ ফরিদ দুষ্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ধৃতের বাড়ি দুবরাজপুরের খোঁয়াজ মহম্মদপুর গ্রামে। ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই পুলিশ তার উপর নজর রাখতে শুরু করে। এরপর সোমবার রাতে দুবরাজপুর থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে শেখ ফরিদ যশপুর থেকে দুবরাজপুর আসার নির্জন রাস্তায় জঙ্গলের ধারে অস্ত্র-সহ রয়েছে। তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র ও গুলি। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত শেখ ফরিদ কী কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি দিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে দুবরাজপুর থানার পুলিস। এমনকী সেই আগ্নেয়াস্ত্র সে কোথা থেকে পেলে, সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ধৃতের সঙ্গে কোনও বড় দুষ্কৃতী চক্রের যোগ আছে কিনা, অস্ত্র পাচার চক্রের হয়েও সে কাজ করে কিনা এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। দুবরাজপুর থানার তরফে পুলিশি হেফাজতের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয় এক দুষ্কৃতীকে। বীরভূম (Birbhum)। পুলিশের জালে ধরা পড়ে বছর ১৯-র এক দুষ্কৃতী। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম শেখ আলাউদ্দিন। বীরভূমের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত সতিঘাট থেকে বিনোদপুর যাওয়ার রাস্তায়, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি-সহ ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।