গোরু পাচার মামলায় বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরই গোরু নিয়ে অতি সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। চোরাচালান রুখতে সক্রিয় প্রশাসন গোরু বোঝাই গাড়িতে বাড়তি নজর দিচ্ছে। এমন অভিযানে লুকিয়ে দুধ বা কয়লার গাড়িতে গোরু নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখা গেছে রাজ্যের অন্যত্র। এবার পুলিশের পাশাপাশি নজরে এল গোরু বোঝাই গাড়ি থামিয়ে বিজেপি কর্মীদের তল্লাশি চালাতে। গোরু নিয়ে যেকোনও রকম বেআইনি কাজ রুখতে তৎপর এলাকার বিজেপি কর্মীরা। আরামবাগের দিক থেকে অহল্যা বাঈ রোড ধরে গোরু নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা যায় অনেক গাড়ি। সেই সব গাড়ি থামিয়ে চেক করছেন বিজেপি কর্মীরা। এদিন ডানকুনি হাউসিং মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সেই গাড়ি আটকে তাদের চালান পরীক্ষা করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। উত্তরপ্রদেশ সহ গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে গো-হত্যা রুখতে এভাবেই তল্লাশি চালানো হয়।
বিজেপির (BJP) এই অভিযান নিয়ে ডানকুনি মন্ডল সভাপতি গুঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ”গাড়ি বোঝাই করে গোরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা যন্ত্রণার। গাদাগাদি করে গোরুগুলোকে তোলা হয় গাড়িতে। এক একটা গাড়িতে পঞ্চাশ ষাটটা গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাস্তা দিয়ে। এদিকে চালান পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে একটা গাড়িতে সাতটা গরু আছে কিন্তু গাড়ির পরিসর খুব ছোট।” অবলা প্রাণীদের যাতে কষ্ট না হয় তা দেখতেই সচেষ্ট তিনি ও তাঁর অনুগামীরা বলে গুঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
বিজেপির এই ধরনের সক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শাসক দল। বিজেপির এই ধরনের কাজকে ‘নেই কাজ তো খই ভাজ’ বলে কটাক্ষ ডানকুনি শহর তৃণমূল যুব সভাপতি কবিরুল আলমের। তিনি বলেন, ”বিজেপি (BJP) পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে ইস্যু খুঁজছে। ওরা গোরু, হিন্দু, মুসলিম করে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরী করে। গোরু কোথা থেকে আসছে, কোথায় যাচ্ছে সেগুলো বৈধ কিনা তা দেখা পুলিশ প্রশাসনের কাজ। জাতীয় সড়কে গাড়ি থামিয়ে চালান পরীক্ষা করার অধিকার বিজেপির নেই। তাই ডানকুনি থানায় (Dankuni Police Station) এবিষয়ে অভিযোগ জানাব।” গোরু নিয়ে এহেন সক্রিয়তায় নতুন করে চাঞ্চল্য বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।