এদিন তিনি BJP-র সমালোচনা করেন কড়া ভাষায়৷ বলেন, “আমাদের দেশে বিলকিস বানুর খুনিরা অমিত শাহর লোক বলে তাদের রেহাই করে দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ একটা কমিউনাল ইন্সট্রুমেন্ট হয়ে উঠেছে। এটা আমরা বরদাস্ত করতে পারি না।” CPIM যেভাবে BJP, RSS এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস সেভাবে প্রতিবাদ করছে না বলেও সরব হন এই প্রবীণ নেত্রী৷
যদিও সম্প্রতি রাজ্যের শাসকদলকে রুখতে একের পর এক সমবায় নির্বাচনে বামেরা BJP-র সঙ্গে জোট করেছে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিহত করার পর মহিষাদল সমবায় ভোটেও জোট করে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুই দলই৷ তারপর থেকে বারবার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি এবার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বাম-BJP নন্দকুমার মডেলেই লড়বে? যদিও সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জোট জল্পনায় জল ঢালেন প্রবীণ CPIM নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷
এরপর দিনকয়েক আগেই এক জেলায় এসে BJP নেতা মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যের শাসকদলকে হারাতে সবাইকে এক ছাতার তলায় আসার আহ্বান জানান৷ সেখানে মতাদর্শগত অমিলের কথাও উল্লেখ করেন৷ তখনই রাজনীতির কারবারিরা দাবি করেন, মিঠুন আদতে বাম-BJP জোটের কথাই বলছেন৷ ফলে ফের জোটের পালে হাওয়া লাগে৷ উসকে ওঠে জল্পনা৷ কিন্তু এদিন চন্দননগরে এক অনুষ্ঠানে এসে নেত্রী বৃন্দা কারাত কড়া ভাষায় BJP-র সমালোচনা করার পর থেকে ফের জোটের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল৷
এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে বৃন্দা কারাত বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলারা গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করেছে, সবকিছুর অধিকার ওরা কেড়ে নিয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলা ৫০ শতাংশ আসনে লড়াই করবে। আন্দোলন করে মহিলারা যা পেলাম, নতুন নিয়ম তৈরি করালাম, BJP-র রাজত্বে তা শেষ করা হচ্ছে৷” গর্ভনর ইস্যুতেও BJP, RSS কে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “পুরো দেশে BJP, RSS গভর্নর পোস্টকে যেভাবে ব্যবহার করছে, গভর্নর পোস্ট মানে কনস্টিটিউশনের রাজদূত। এখানে BJP, RSS-র রাজদূত। আমরা কোনো সমঝোতা না করে BJP, RSS এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।” ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম- BJP জোট আপাতত বিশ বাঁও জলে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা৷