Fish Farming : ১৮৮৯ সালে লর্ড লিটনের তৈরি মৎস্য আইন অবলুপ্ত – lord lytton fisheries act is abolished in west bengal


এই সময়: অবশেষে ১৩২ বছরের পুরোনো মৎস্য আইনে যবনিকা পড়ল। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন পুকুর কিংবা জলাশয়ে মাছ চাষের সুরক্ষার জন্য ১৮৮৯ সালে প্রণীত হয়েছিল ‘দ্য প্রাইভেট ফিশারিজ প্রোটেকশন অ্যাক্ট’। সে সময়ে ভারতের শাসনকর্তা ছিলেন লর্ড লিটন। সেই আমলে তৈরি হওয়া মৎস্য সুরক্ষা আইন বর্তমানে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। সময়ের চাহিদা মেনে আইনে অনেকগুলো সংশোধনী আনা হয়েছে। তাই পুরোনো আইনটিকে পাকাপাকি ভাবে অবলুপ্ত করে দেওয়া হলো।

Sundarbans : হাঙড়-শংকর মাছের শুঁটকির চোরা কারবার বাড়ছে, সুন্দরবনে প্রচারাভিযানে বন দফতর
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরীর ব্যাখ্যা, যে সময়ে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন পরিস্থিতি আলাদা ছিল। এই সময়ের মধ্যে মৎস্য চাষে বিশাল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। কত মাছ অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। পুরোনো আইনে কচ্ছপ এবং শামুককে মৎস্য হিসাবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিরল প্রজাতির প্রাণী হিসাবে কচ্ছপ সংরক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে। ফলে পুরোনো আইন তার কার্যকারিকতা হারিয়েছে।

Chuno Fish : সব স্টলেই চুনো মাছের নানা পদ, পূর্বস্থলীর এই মেলায় গিয়েছেন কখনও
এ দিকে ময়নার বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা অভিযোগ করেন, মাছ চাষে রাজ্যে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। অনেকে ভুয়ো কার্ড তৈরি করে মাছ চাষের নাম করে সরকারি অনুদান লোপাট করে দিচ্ছে। মাছের খাদ্য উৎপাদনের জন্য কেন এ রাজ্যে কারখানা গড়ে উঠছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

Today Market Price: শাক-সবজি দিয়েই ভরতে হচ্ছে থলে! মাছের দামে নাকাল মধ্যবিত্ত
বিজেপি বিধায়ক অরূপকুমার দাস সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাছ চাষের জন্য অনেক জায়গায় নদী ও সমুদ্রের নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুকুরে নির্বিচারে পটাশ, চুন এবং অন্যান্য কীটনাশক ব্যবহার করছেন অনেকে। তাতে মাটির স্বাভাবিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *