জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের পুলকার পাঁচলা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪ জন পড়ুয়াকে নিয়ে কুলগাছিয়া অভিমুখে যাচ্ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ৮ টা ৪৫ নাগাদ ১৬ নং জাতীয় সড়কে উলুবেড়িয়া কুশবেড়িয়ার কাছে পুলকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক পোষ্টে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় পুলকারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনা লক্ষ্য করে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলকারের সামনের অংশ ভেঙে চালক সহ পড়ুয়াদের উদ্ধার করে। আহত পড়ুয়াদের প্রথমে উলুবেড়িয়া ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কের কোলাঘাটমুখী (Kolaghat) লেনে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ (Uluberia Police Station) ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলকারটিকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
তবে উলুবেড়িয়া ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেই, ১৬ নং জাতীয় সড়কে উলুবেড়িয়া থানার (Uluberia Police Station) জোড়া কলতলার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। জাতীয় সড়কের পাশে থাকা গার্ডওয়ালে ধাকা মেরে ৩ বাইক আরোহী ছিটকে যায়। দুর্ঘটনার পর তিনজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মাস খানেক আগে ১৬ নং জাতীয় সড়কে উলুবেড়িয়া থানার জোড়াকলতলায় বেপরোয়া অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল মা ও মেয়ের। সে বার মৃতদেহ আটকে রেখে, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সপ্তাহ খানেক আগে উলুবেড়িয়া নিমদীঘি মোড়ে ডাম্পারের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয় ২ শিশু সহ এক মহিলার। একের পর এক দুর্ঘটনার জেরে পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। কয়েক মাস আগে গত জুলাইয়ে, উলুবেড়িয়াতেই বেপরোয়া বাইক চালাতে গিয়ে প্রাণ যায় দুজনের।