হিঙ্গলগঞ্জের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ভোটার তালিকায় (Voter List) নাম তোলা চলছে। সবাই নাম তুলবেন। ১৭ থেকে ১৮-তে পড়ছেন যারা তাঁরাও অবিলম্বে নাম তুলুন। ভোটার তালিকায় নাম তোলা আপনার অধিকার। ওখানে নাম না থাকলে আপনার আইডেন্টিটি থাকবে না।” এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”নাম তুলতে গেলে কেউ যদি বলে আধার কার্ড নিয়ে এস ওটা কিন্তু ঠিক নয়। জানবেন সে ভুল কথা বলছে। সরকার জানিয়েছে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আধার কার্ড (Aadhar Card) বাধ্যতামূলক নয়।এ সরকার অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছে। কারও থাকলে দিতে পারে। কিন্তু কারও না থাকলে তাঁকে জোর করা যাবে না।”
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, এই বিষয়ে তিনি কড়া নজর রাখবেন। এর জন্য সুন্দরবনকে (West Bengal New District) আলাদা জেলা করতে চলেছেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”সুন্দরবনকে (Sundarban Separate District) আলাদা জেলা ঘোষণা করা হচ্ছে। সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যানের (Sundarban Master Plan) বিষয়েও আমরা আলোচনা করছি। স্থানীয় এলাকায় একাধিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ছি। হোম স্টে এক্ষেত্রে আয়ের একটা বড় উৎস হতে পারে।”
অন্যদিকে, এদিন হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দাদের জন্য কেনা শীতবস্ত্র ঠিক সময় না পৌঁছনোয় সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধমক দেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদীকে। কর্মসূচি থামিয়ে প্রায় পাঁচ মিনিট মঞ্চে বসে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister)। শেষে শীত বস্ত্র পৌঁছনোর পরই তিনি ফের উঠে তা স্থানীয়দের হাতে তুলে দেন।
এদিন সভামঞ্চে পৌঁছনোর আগে বনবিবির থানে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে বনবিবির থানকে পাকা মন্দির বানানোর কথাও বলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।