হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দাদের জন্য কেনা শীতবস্ত্র না পৌঁছনোয় প্রায় পাঁচ মিনিট মঞ্চে বসে রইলেন মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশের পর অবশ্য মুহূর্তে কাজ হয়। মঞ্চে এসে পৌঁছন শীতবস্ত্র এবং মুখ্যমন্ত্রী তা স্থানীয়দের হাতে তুলে দেন। মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বনবিবি মন্দিরে পুজো গিয়ে সোজা মঞ্চে উপস্থিত হন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি জানান, এলাকার বাসিন্দাদের জন্য গত তিন দিন ধরে শীতবস্ত্রের আয়োজন করেছিলেন এবং তা বিতরণ করতে চান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু, সেই সময় জানা যায়, আদতে মঞ্চে সেই শীতবস্ত্র নেই। তা রাখা হয়েছে BDO অফিসে। তা শোনার পরেই রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানান, তাঁর এই সফরের অন্যতম হেতু যাতে সকলের হাতে শীতের আগে এই বস্ত্রগুলি তুলে দেওয়া সম্ভব হয়।
তিনি জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন, কেন শীতবস্ত্রগুলি আনা হয়নি! এরপর মঞ্চের সামনে উপস্থিত মানুষজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা এখানে বসুন, আমিও বসি। যতক্ষণ না পর্যন্ত শীতবস্ত্র আসছে এখানেই বসে থাকব।” এরপর মাঝপথে ভাষণ থামিয়ে তিনি মঞ্চে বসেছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “BDO ঠিকমতো কাজ না করলে , IC-রা ঠিকমতো কাজ না করলে, জেলাশাসকরা ঠিকমতো কাজ না করলে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই মধ্যেই মঞ্চে এসে পৌঁছয় শীতবস্ত্র। তা কিছু স্থানীয়দের মধ্যে বিতরণ করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকিরাও যাতে শীতবস্ত্র পান সেই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে তিনি ১৫ হাজারের বদলে ২০ হাজার শীতবস্ত্র দিতে রাজি, জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “সুন্দরবনকে আলাদা জেলা ঘোষণা করা হচ্ছে। সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যানের বিষয়েও আমরা আলোচনা করছি। ভোটার লিস্টে প্রত্যেকে নাম তুলুন। কেউ যদি এক্ষেত্রে আলাদা করে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক বলেন জানবেন তিনি সত্য বলছেন না। আধার কার্ড ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।