স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিন ভোররাতে বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে দেখেন পাশের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে আগুন জ্বলছে। ব্যাঙ্ককর্মী বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির গোটা একতলা দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল বলে জানান। ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পাড়ায়। ধোঁয়া দেখেই বাইরে এসে বাড়িটির একতলার আগুন দেখতে পান বাসিন্দারা। চিৎকার চেঁচামেচি করে বাসিন্দাদের সতর্ক করার চেষ্টা করা হলেও বাড়ি থেকে সেসময় কারও আওয়াজ পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। ওই বাড়িতে ৯২ বছরের বৃদ্ধ বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। বিজয়বাবুর ছেলে বিদ্যুৎ ছিলেন এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। তাদের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায় দোতলায় একটি তিন জন পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাদের বারাসত হাসপাতালে (Barasat Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাদের পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিজয়বাবুর স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তিনি আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক সূত্রে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়। ভোররাতে বাড়ির একতলায় আগুন লাগে। দোতলায় ছিলেন বিজয়বাবু ও তাঁর পরিবার। মনে করা হচ্ছে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাদের। আগুন লাগার কারণ জানতে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।