Uttar Dinajpur News : কোটি টাকার ফেলোশিপ নিয়ে বিদেশে গবেষণার সুযোগ, করণদিঘির গর্ব শুভজিৎ – uttar dinajpur student subhajit sarkar is going to malaysia for research


বাবা পেশায় কৃষক। অনটনেই কেটেছে বহুদিন। কিন্তু, এই অভাবের মধ্যেও সন্তানের স্বপ্ন লালন পালন করেছেন বিকনপুর গ্রামের বাসিন্দা শংকর সরকার। ছেলে শুভজিৎ বাংলা মাধ্যমে পড়েও তাক লাগানো ফলাফল করেছেন। এবার উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের প্রত্যন্ত বিকনপুর গ্রামের এই যুবকই গবেষণার জন্য পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে।ছেলেবেলা থেকে গ্রামেই পড়াশোনা শুভজিতের। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তাঁর পড়াশোনা শুরু। এরপর ধীরে ধীরে উচ্চবিদ্যালয়, কলেজ তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার। কিন্তু, এখানেই যাত্রা থামাতে চাননি এই মেধাবী ছাত্র। গবেষণা করতে চেয়েছিলেন তিনি। আর সেই জন্যই এবার ডাক পেলেন সুদূর মালয়েশিয়াতে।

Justice Abhijit Gangopadhyay : ‘বাংলার গর্ব’, বাইকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান ব্যবসায়ী
মালায়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন বিকনপুরের এই তরুণ। শুভজিৎ জানান, তাঁর গবেষণার প্রাথমিক বিষয়বস্তু তিনি প্রথমে মালয়েশিয়ার গাইডকে পাঠান। তিনি পুরো বিষয়টি যাচাই করে সবুজ সংকেত দেন। এর ৭-৮ মাস পর মালায়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য আবেদন করেন শুভজিৎ। অবশেষে সেখান থেকে ডাক আসে তাঁর। পাশাপাশি ভারত সরকারের ফেলোশিপও পেয়েছেন এই মেধাবী ছাত্র। শুভজিৎ জানিয়েছেন, তিন বছরের জন্য মোট এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ফেলোশিপ পেয়েছেন তিনি।

Subrata Bakshi : সিদ্ধান্ত না-মানলে করিম ছাড়ুন বিধায়ক পদ, কড়া বার্তা বক্সির
শুভজিতের পরিবারে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া। পরিবারে রয়েছেন মা,বাবা,ভাই,বোন। মেধাবী শুভজিতের পড়াশোনার সমস্ত খরচ একা তাঁর বাবার পক্ষে জোগানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যাপকরা তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িতে দিয়েছেন। অধ্যাপক ডঃ মহঃ ফিরেজ হোসেন, ভাস্কর বিশ্বাস, ডঃ জয়ন্ত নন্দের মতো মানুষদের পাশে পেয়েছেন শুভজিৎ। তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই যুবক। শুভজিৎ বলেন, “আমি বাংলা মাধ্যমেই পড়াশোনা করি। আলতাপুর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি MSC পাশ করি। অর্গানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে গবেষণা করতে চাই।”

Arsenic : আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল তৈরির পেটেন্ট ছিনিয়ে নিলেন রায়গঞ্জের স্পন্দন
শুভজিতের বাবা শংকর সরকার বলেন, “আমার ছেলের সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। ছেলে যাতে মানুষের মতো মানুষ হয় এবং দেশের জন্য কাজ করতে পারে সেই কামনা করছি। আমার সেভাবে আর্থিক জোর ছিল না। আমার ছেলেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়িয়েছি। এরপর ও স্যার ম্যামদের থেকে সাহায্য পেয়েছে। তাঁদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।”

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *