বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extra Marital Affair) জেরে বধূকে বাড়িতে ডেকে ‘খুন’ করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে সোনালি বর্মন -এর দেহ অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে উদ্ধার হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধারে এলে বাধা দেন তাঁরা। বিক্ষোভ ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
হাইলাইটস
- বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বধূকে বাড়িতে ডেকে ‘খুন’ করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
- সোনালি বর্মন -এর দেহ অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে উদ্ধার হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা।
- বিক্ষোভ ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীর বাড়ির কাছে সোনালির দেহ উদ্ধারের পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতার বোন বলেন, ‘প্রতিবেশী একজনের সঙ্গে দিদির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধরের পরে বাবা ও ছেলে মিলে খুন করেছে দিদিকে। অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার না করে পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন গ্রামবাসীরা।’ যদিও এ ব্যাপারে অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল৷ রাতে স্বামী মদ খেয়ে বাড়িতে এলে ছেলের সঙ্গে ব্যাপক গন্ডগোল হয়৷ কিন্তু ওই মহিলাকে স্বামী বা ছেলে কেউ-ই মারধর করেনি।’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার ছেলে ঘটনার পরে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। চাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বামনহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক ভট্টাচার্য বলেন, ‘অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ আমাকে খবর দেয়। আমি গিয়ে এলাকার মানুষকে শান্ত করি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে সাহেবগঞ্জ থানার আধিকারিক আমাদের কথা দিয়েছেন।’
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ