প্রাথমিক স্কুল থেকে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নমিতা মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ভর দুপুরের বাড়িতে অযাচিত অতিথি, খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ‘দিদি’-ভাত খেয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন নমিতা। সাধারণত ভাত-রুটির থেকে মুড়িতে বেশি স্বচ্ছন্দ ‘স্বল্প আহারি’ মুখ্যমন্ত্রী। একথা একাধিকবার নিজেই জানিয়েছেন। কিন্তু এদিন নমিতার আবদার মেনে স্টিলের থালা হাতে নিয়ে প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে উঠোনে বসে পড়েন মমতা।
কস্মিনকালে মমতাকে এভাবে প্রকাশ্যে খেতে দেখা যায়নি। স্টিলের থালায় ছিল ভাত, তরকারি এবং ট্যাংরা মাছের ঝোল। ভাত খাওয়ার জন্য নমিতা চামচ এগিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে, কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করে হাত দিয়ে ভাত মেখে খেতে শুরু করেন মমতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ট্যাংরা মাছের ঝোল দিয়ে দু’গাল ভাত খেলেও আলুর তরকারি মুখে তোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের সামনে বসে পাত পেড়ে খাচ্ছেন, তা দেখে খানিক বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে গ্রামের মহিলারা ঠায় বসেছিলেন। মমতাকে তাদের সঙ্গে কথা বলেও দেখা যায়। এভাবে মমতা জনতার সঙ্গে মিশে যেতে পারেন।
জনতার মাঝে বসে মুখ্যমন্ত্রীকে খেতে দেখে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী থেকে উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিকরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সরকারি অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র দেরি করে এসে পৌঁছনোয় মেজাজ হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন মমতা। হাততালিতে ফেটে পড়েছিল সভাস্থল। হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) থেকে টাকিতে (Taki) ফিরে হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে পড়ে জনসংযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। তার আগে উত্তর ২৪ পরগণা সফরে সরকারি কাজের পাশাপাশি জনসংযোগের ওপর বাড়তি নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।