Mid Day Meal : মিড ডে মিলের রাঁধুনি ক্লাস নিচ্ছেন স্কুলে! বিতর্ক মালদায় – mid day meal cooking staff taking classes in primary school controversy at malda


West Bengal News যিনি রাঁধেন, তিনি বিদ্যালয়ের ক্লাসও নেন। নিতেই পারেন, কিন্তু সরকারি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রাঁধুনি কি স্কুলের ক্লাস নিতে পারেন ? সেটাই হচ্ছে মালদার ভজমোহন নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Brajamohan Primary School)। ফের প্রকাশ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা। বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। যারাও আছেন অনেকে নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। ক্লাস নিচ্ছে মিড ডে মিলের রাঁধুনি। এদিকে শ্রেণীকক্ষের ছাদে ফাটল থাকায় আতঙ্কে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার ফলে রাঁধুনি ক্লাস নিচ্ছেন বলে সাফাই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। স্কুলের অবস্থা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজাও।

Mid Day Meal : ফের মিড ডে মিলের খাবারে পোকা! এবার কাঠগড়ায় কুলপির রাজারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা (Harishchandrapur Police Station) এলাকার হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে ভজমোহন নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট চারজন শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে একজন রয়েছেন ছুটিতে। আরেক পার্শ্ব শিক্ষক পলাশ দাস নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয় আসেন না বলে অভিযোগ। ছাত্রদের পড়াতে দেখা গেল মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) রাঁধুনি সান্তনা দাসকে। বিদ্যালয় সূত্রের খবর, পার্শ্ব শিক্ষক পলাশ দাস বহুদিন ধরে নিয়মিত আসেন না। এই নিয়ে শিক্ষা দফতরের প্রশাসনিক কর্তা এবং পার্শ্ব শিক্ষক সংগঠনের পদাকাধিকারীদেরকেও জানিয়েছে বিদ্যালয়। এমনিতেই ছাত্র সংখ্যা অনুযায়ী নেই পর্যাপ্ত শিক্ষকও। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। ফলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং অন্য এক জন সহকারী শিক্ষকের পক্ষে সম্পূর্ণ ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। সেই জন্যই বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য বলা হয় মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে। দরকার পড়লে বাচ্চাদের ক্লাসও নিচ্ছেন তিনি।

Sand Smuggling : প্রকাশ্য দিবালোকে গঙ্গাবক্ষ থেকে বালি তোলার অভিযোগ, উত্তরপাড়ায় ক্ষোভ
বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার দাস বলেন, “মাত্র চার জন শিক্ষক রয়েছে। একজন ছুটিতে। পার্শ্ব শিক্ষক নিয়মিত ভাবে আসেন না। মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে বলেছি বাচ্চাদের দেখতে। কখনও হয়তো ক্লাস নিচ্ছে। ছাদে ফাটলের ব্যাপারটা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানাবো।” এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমি দেখব। সব জায়গাতেই শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে।

Midnapore School : স্কুলের নির্বাচনে হেরে গিয়ে TMC কাউন্সিলরের তাণ্ডব! আতঙ্কে চোখে জল হেডমাস্টারের
তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। BJP-র জেলা কমিটির সদস্য কিষাণ কেডিয়া বলেন, “শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে পারছে না। চারিদিকে বিদ্যালয় গুলোতে এরকম বেহাল অবস্থা। সংবাদমাধ্যম থাকার ফলে এগুলো সামনে আসছে। শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। BJP যতদিন না আসে এই রাজ্যে কিছু ঠিক হবে না।” অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, “ঘটনাটি শুনলাম। একজন রাঁধুনি কেন ক্লাস নেবেন ? আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজন মতো কথা বলে ব্যবস্থা নেব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *