চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, ওই এলাকায় টোটনের একটি সুপারি কারখানা ও একটি ফার্ম হাউস রয়েছে। বুধবার বোমার খোঁজে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালায় চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তল্লাশি অভিযানের নেতৃত্ব ছিলেন থানার IC অনুপম চক্রবর্তী। তবে, টোটনের বাড়ি থেকে কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি মাসে চুঁচুড়ার নলডাঙা নারায়নপুর প্রাথমিক স্কুল মাঠে তিনটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বোমা উদ্ধার ঘিরে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর।
কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাস জেলে ছিল। জামিন পাওয়ার পর তাঁকে হেফাজতে রেখেছিল চুঁচুড়া থানার পুলিশ। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় গত ৬ অগস্ট টোটনের ওপর গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। টোটনের ওপর আক্রমণ চালায় তাঁর বিরুদ্ধে বাবু পালের গোষ্ঠীর দুষ্কতীরা। টোটনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর পেটে গুলি লাগেও অল্পের জন্য সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করেনি টোটন। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে মেদিনীপুর জেলে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
টোটন জানিয়েছিলেন, তিনি সব অসামাজিক কার্যকলাপ ছেড়ে দিয়েছে এবং এখন সে কোনও কিছুর সঙ্গে জড়িত নয়। কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীকে প্রাণে মারার জন্য রোগী সেজে হাসপাতালে অপেক্ষা করছিল শ্যুটাররা। কুখ্যাত টোটোন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে খুন ও তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। টোটনকে গুলি চালানোর ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, টোটন যখন জেলবন্দি ছিল তখন তাঁর ব্যবসায় ভাগ বসাতে চেয়েছিল বাবু পাল। পুলিশে হাতে ধরা পড়ে বাবু। জেরার মুখে সে জানিয়েছিল, পুরনো শত্রুতার কারণে টোটনের ওপর হামলা করেছিল সে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার নিয়ে চিন্তা রয়েছে প্রশাসন।