West Bengal School: ক্লাসরুমের বেহাল দশা! নেই ছাউনি, পঠনপাঠনের জন্য রান্নাঘর ভরসা নামখানার স্কুলের – south 24 parganas cyclone amphan affected school class going in kitchen


Namkhana School : দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক সরকারি শিশ শিক্ষাকেন্দ্রের (West Bengal Government Child Education Centre) মারাত্মক দৈনদশার ছবি সামনে এসেছে। ২০২০ সালে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan) তাণ্ডবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকের (Namkhana Block) দ্বারিকনগর ভিআই লেনিন শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ঝড়ের তীব্রতায় শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ছাউনি উড়ে যায়। করোনা অতিমারির (Covid Pandemic) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে বন্ধ ছিল পঠন পাঠন। সেই সময় আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। সংক্রমণের সংখ্যা কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের অবস্থা একই রকম রয়ে গিয়েছে। কচিকাঁচাদের স্কুলটি এখনও ছাউনিহীন।

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক, হিঙ্গলগঞ্জে BDO অফিস থেকে শীতবস্ত্র আনার পথে দুর্ঘটনা ম্যাটাডোরের
শিশু শিক্ষাকেন্দ্র ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে নির্দেশ এলেও এখনও ছাউনি তৈরি করে সম্ভব হয়নি। আটমাসের বেশি সময় ধরে স্কুল খোলার পরও এখনও ছাউনি মেরামতি না হওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষিকারা। স্কুলের পঠন পাঠন চালানোর জন্য পার্শ্ববর্তী মিড ডে মিলের রান্নাঘরই এখন শতাশিক পড়ুয়ার ভরসা। রান্নাঘরের এক টুকরো বারান্দাতেই চলছে সব শ্রেণির পঠনপাঠন। এই ছোটো জায়গায় নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষিকারাও।

Uttar 24 Pargana: সন্তানহারা পাড়ার তিন পরিবার, শোকে ডুবে ভাঙড়ের বামনঘাটা
শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষিকাদের দাবি, একাধিকবার ব্লক প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন করলেও তাদের সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। অন্যদিকে আরও একটি গুরুত্বর সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করা সত্ত্বেও প্রত্যেক তিনমাস অন্তর মোটা টাকা ইলেকট্রিক বিল আসছে। বিলের টাকা মেটাতে জেরবার স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষিকাদের দাবি, এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিনিয়ত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে স্থানীয় কচিকাঁচাদের ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে।

Dakshin 24 Pargana : মোবাইলে আসক্তি! মায়ের সামান্য বকুনিতে চরম সিদ্ধান্ত ছেলের

স্কুলের শিক্ষিকা তাপসী জানা বলেন, “আমার বাধ্য হয়ে এখন রান্নাঘরেই পড়াচ্ছি। কী আর করব! রান্নাঘরে ধোঁয়াতে ছোটো ছোটো বাচ্চাদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা BDO অফিস থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত, সব জায়গায় জানিয়েছি কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি।” স্কুলের আরেক শিক্ষিকা উষা বাজ বলেন, “ঝড়ে চাল উড়ে গিয়েছি। আমার BDO ও পঞ্চায়েত প্রধানকে আবেদন করেছি। কিন্তু, এখনও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। কাঠের উনুনে রান্না হওয়ার কারণে পড়ুয়াদের পাশাপাশি আমাদেরও অসুবিধা হয়। রান্নাঘরেই পড়াশুনো ও খাওয়া দাওয়া চলছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বে প্রত্যেক তিনমাস মোটা টাকা বিদ্যুতের বিল আসে। আমার সমস্যার মধ্যে রয়েছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *