ক্লাস রুমে চলছে পরীক্ষা; বাইরে দুয়ারে সরকার, শোরগোলে নাভিশ্বাস পরীক্ষার্থীদের


সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: হৈ-হট্টগোলের মধ্যেই চলছে স্কুলের পরীক্ষা। বাইরের আওয়াজ যাতে না আসে সেজন্য ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে পরীক্ষা নিচ্ছেন কেতুগ্রাম আমগোরিয়া-গোপালপুর আরজিএম ইনস্টিটিউশনের শিক্ষকরা। শ্রেণিকক্ষের বাইরের বারান্দায় চলছে দুয়ারে সরকার শিবির। শয়ে শয়ে উপভোক্তার লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই ছবি তুলতে গেলে তেড়ে এলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সালেহ হোসেন ওরফে তুহিন মিঞা।  তৃণমূলের নেতা এলাকার লোকজনকে সঙ্গে করে সাংবাদিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ছবি তোলা বন্ধ করে দেন। সংবাদমাধ্যমের নামে অশ্লীল ভাষায় গালি দিতে থাকেন। সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের স্কুলের বাইরে পুঁতে ফেলবে হুমকিও দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-কাপ যুদ্ধে ‘আইডল’ মারাদোনার রেকর্ড ভেঙে কী বললেন মেসি? জেনে নিন

কেতুগ্রাম ১ ব্লকের  প্রশাসনের কর্তা  এবং কেতুগ্রাম থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কেতুগ্রামের বিডিও পুষ্পেন্দু সান্যাল সাংবাদিকদের বলেন, একইসঙ্গে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা এবং দুয়ারে সরকার শিবির চলতে পারে না। দুয়ারে সরকার শিবিরটি আমরা সরিয়ে নিচ্ছি। ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের আমগড়িয়া- গোপালপুর আর জি এম ইন্সটিটিশানে।

আমগোরিয়া-গোপালপুর আর জি এম ইনস্টিটিউশনে দুয়ারে সরকার শিবির চলাকালীন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। সাংবাদিকরা ছবি তুলতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতার রোষে পড়েন। জোর করে সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি সাংবাদিকদের স্কুল চত্বর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিস প্রশাসন  ঘটনাস্থলে এসে সামাল দেয়। স্কুলের পড়ুয়াদের পরীক্ষায় দিতে অসুবিধা হচ্ছে সেকথা স্বীকার করে এক শিক্ষক বলেন, ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।

কেতুগ্রামের বিডিও পুষ্পেন্দু সান্যাল বলেন,  দুয়ারে সরকার শিবিরের সিডিউল  করা হয়েছে আগেই। স্কুলে পরীক্ষা আর দুয়ারে সরকার শিবির একই সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা দুয়ারে সরকার শিবির সরিয়ে নিচ্ছি। স্কুল কর্ত্তৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে চায়নি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *