রণজয় সিংহ: ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে বাড়িতেই বাড়িতেই আত্মঘাতী এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মৃতা ছাত্রীর নাম স্নেহা সাহা (১৭)। আজ সকালে বাড়ির লোকেরা তার শোওয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসীহাটা গ্রামে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য। ওই ছাত্রীর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃতা ছাত্রী স্নেহা সাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল বিহারের আজমনগর থানার বাসিন্দা জ্যোতি সাহার সঙ্গে। এরই মধ্যে জ্যোতির স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় পরে তাদের বিয়েও হয়ে যায়। তারপর থেকেই জ্যোতির বাড়ির লোকজন স্নেহাকে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। ছেলেটির সঙ্গে জ্যোতির পালানোর ঘটনার জন্য স্নেহাকে দোষারোপ করা হয়। এমনকি এই ঘটনার জন্য প্রতিদিনই স্নেহাকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হত জ্যোতির পরিবারের তরফ থেকে। সম্প্রতি জ্যোতির বাবা ফোন করে স্নেহার কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ।
তারপর থেকে স্নেহা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এরপরই আজ বাড়ির লোক স্নেহার ঝুলন্ত মৃতদের উদ্ধার করে তার শোওয়ার ঘর থেকে। স্নেহের বাবা মিন্টু সাহা জানান, আমার মেয়ের সঙ্গে জ্যোতির অনেক দিনের বন্ধুত্ব ছিল। জ্যোতি এলাকারই একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের কারণে পালিয়ে যায়। পরে সেটা মিটমাট হয়ে যায়। এরপর থেকেই জ্যোতির পরিবার আমার মেয়েকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করতে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই জ্যোতির বাবা এবং ওর বাড়ির লোক আমার মেয়েকে ফোনে হুমকি দিত। মেরে ফেলার ভয় দেখাত। মেয়েটা মানসিক অবসাদে ভুগছিল। কিন্তু এইভাবে যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেবে ভাবতে পারিনি। আমি চাই পুলিশ এই ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক।
স্নেহার মৃতদেহ আজ সকালে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিস।