গ্রামবাসী সৌরভ মাকুড় বলেন, ” আমাদের খুবই সমস্যা হয় যাতায়াতে। বর্ষার সময় সমস্যা আরও দ্বিগুণ হয়। আমাদের সেই সতীঘাট দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। তাতে সময় প্রায় দ্বিগুণ লাগে। সেই কারণে এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমাদের কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।” স্থানীয় এক স্কুল ছাত্রী অনামিকা বাউরী বলেন, ” যখন নদীতে বান আসে, তখন যাতায়াত পুরো বন্ধ হয়ে যায়। ঘুরে সতীঘাট হয়ে যেতে গেলেও অনেকটা সময় লাগত। সে কারণে এই বাঁশের সাঁকো করলে অনেকটা সুবিধাই হবে আমাদের যাতায়াতের।”
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলায় ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদনদী রয়েছে। তার মধ্যে বাঁকুড়া সতীঘাট সংলগ্ন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদী। এটি দ্বারকেশ্বর নদের একটি উপনদী। এই নদী পথ প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। বাঁকুড়ার মানুষ গন্ধেশ্বরী নদীকে ছোট নদী বলেই চেনেন। তবে বৃষ্টি এলেই এই গন্ধেশ্বরী নদী এক ভয়ঙ্কর রূপে রূপান্তরিত হয়। বর্ষায় এই এলাকায় জুনবেদিয়া, কেশিয়াকোল, সতীঘাট, রামকৃষ্ণপল্লী সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বর্ষাকালের ওই কয়েকটা দিন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকত না। আগামী দিনে যাতে ওই এলাকায় একটা পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে এখনও আশাবাদী গ্রামের বাসিন্দারা। তার আগে নিজেদের উদ্যোগে বাধ্য হয়েই সেতু নির্মাণ করতে হচ্ছে বলে মত এলাকাবাসীর।