Bankura News : প্রশাসন নির্বিকার, বাঁকুড়ায় নদী পারাপারে নিজেদের উদ্যোগেই সাঁকো নির্মাণ গ্রামবাসীর – bankura villagers take initiative to build bridge over gandheswari river


বারবার প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েও লাভ হয়নি। হয়নি কোনও পাকা সেতু নির্মাণ। ঝুঁকি নিয়ে নদী পারপার চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল এলাকাবাসীর। আর প্রশাসনের মুখাপেক্ষি না থেকে গণ উদ্যোগে সেতু তৈরির উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া-২ ব্লকের শুশনিডাঙা গ্রামের (Sushnidanga Village) মানুষ। নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে গন্ধেশ্বরী সেতুর উপর ঐ সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বলরামপুর, কুমরাডাঙা, গৈরা, শুশনিডাঙা গ্রামের মানুষের বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম অন্তরায় গন্ধেশ্বরী নদী (Gandheswari River)। নদীর ওপারে জাতীয় সড়ক-৬০ ধরে অতি সহজেই যে কোনও প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যায়। একই সঙ্গে নানা কাজে ব্লক অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া তো আছেই। গন্ধেশ্বরীতে সেতু না থাকায় দীর্ঘ পথ ঘুরে ঐ সব জায়গায় পৌঁছতে হয়। তাই যাত্রাপথ সুগম করতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গন্ধেশ্বরী নদীর (Gandheswari River) উপর সেতু তৈরির আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই নিজেরাই সেতু তৈরীর কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।

Malda News : বেহাল রাস্তা! নেই পাকা সেতু, ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি মালদার গ্রাম পঞ্চায়েতে
গ্রামবাসী সৌরভ মাকুড় বলেন, ” আমাদের খুবই সমস্যা হয় যাতায়াতে। বর্ষার সময় সমস্যা আরও দ্বিগুণ হয়। আমাদের সেই সতীঘাট দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। তাতে সময় প্রায় দ্বিগুণ লাগে। সেই কারণে এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমাদের কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।” স্থানীয় এক স্কুল ছাত্রী অনামিকা বাউরী বলেন, ” যখন নদীতে বান আসে, তখন যাতায়াত পুরো বন্ধ হয়ে যায়। ঘুরে সতীঘাট হয়ে যেতে গেলেও অনেকটা সময় লাগত। সে কারণে এই বাঁশের সাঁকো করলে অনেকটা সুবিধাই হবে আমাদের যাতায়াতের।”

Uttar 24 Pargana : বালি বোঝাই লরির চাকা বসে গেল রাস্তায়, ব্যাপক যানজট বাগদা রাজ্য সড়কে
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলায় ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদনদী রয়েছে। তার মধ্যে বাঁকুড়া সতীঘাট সংলগ্ন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদী। এটি দ্বারকেশ্বর নদের একটি উপনদী। এই নদী পথ প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। বাঁকুড়ার মানুষ গন্ধেশ্বরী নদীকে ছোট নদী বলেই চেনেন। তবে বৃষ্টি এলেই এই গন্ধেশ্বরী নদী এক ভয়ঙ্কর রূপে রূপান্তরিত হয়। বর্ষায় এই এলাকায় জুনবেদিয়া, কেশিয়াকোল, সতীঘাট, রামকৃষ্ণপল্লী সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বর্ষাকালের ওই কয়েকটা দিন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকত না। আগামী দিনে যাতে ওই এলাকায় একটা পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে এখনও আশাবাদী গ্রামের বাসিন্দারা। তার আগে নিজেদের উদ্যোগে বাধ্য হয়েই সেতু নির্মাণ করতে হচ্ছে বলে মত এলাকাবাসীর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *