Free Fire Game : ফ্রি ফায়ারে আসক্ত কিশোর, মায়ের বকুনি খেয়ে চরম সিদ্বান্ত পড়ুয়ার – student from diamond harbour killed himself after argument with family member over free fire game


মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম (Mobile Game) খেলতে বারণ করা হয়েছিল। তার জেরেই ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দেবপ্রসাদ সর্দার। মৃতের পরিবারের তরফে একথা দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার থানার (Diamond Harbour Police Station) দক্ষিণ কুলেশ্বর গ্রামে।

 

mobile game
ছবিটি প্রতীকী

হাইলাইটস

  • ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে বারণ করা হয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে
  • ডায়মন্ড হারবারে ঘর থেকে উদ্ধার করা হল ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ
  • পরিবারের দাবি, মোবাইলে গেম খেলতে বারণ করায় আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোর
West Bengal News : ফ্রি ফায়ার গেম (Mobile Game) খেলতে বারণ করা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, তার জেরেই ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র। মৃত কিশোরের নাম দেবপ্রসাদ সর্দার (১২)। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইন গেমে (Online Game) আসক্ত হয়ে পড়েছিল দেবপ্রসাদ। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে বলে তাকে গেম খেলতে বারণ করেছিল। কিন্তু, কারও কোনও কথাই সে শোনেনি। এরপর বাধ্য হয়ে তার ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল পরিবারের তরফে। তারপরই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার থানার (Diamond Harbour Police Station) দক্ষিণ কুলেশ্বর গ্রামে। Dakshin 24 Pargana : মোবাইলে আসক্তি! মায়ের সামান্য বকুনিতে চরম সিদ্ধান্ত ছেলের
ঠিক কী হয়েছিল?
ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে খুবই ভালোবাসত দেবপ্রসাদ। বাড়িতে থাকলে পড়ার ফাঁকেও সে ওই খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। এনিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে বলেছিল যে এভাবে সব সময় খেলতে খেলতে পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে। তাই তাকে গেম খেলতে বারণও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কারও কথাও শোনেনি সে। গত মঙ্গলবার আবারও পরিবারের লোকজন অনলাইন গেম খেলতে নিষেধ করে কিশোরের থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বকাবকি করে পরিবারের সদস্যরা। Paschim Medinipur News : ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও খোঁজ মেলেনি শিশুর, মেদিনীপুরে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের
অভিমানে আত্মঘাতী কিশোর
কিশোরের পরিবারের দাবি, বকাবকি করার পরই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে দেবপ্রসাদ। ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি জানতে পারার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে, কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠায় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। মৃত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা জানান, অনলাইন গেমের প্রভাবে নষ্ট হচ্ছে বর্তমান সময়ের শিশুদের শৈশব। তাই অবিলম্বে অনলাইন গেম বন্ধ করা উচিত। Road Accident : ইলামবাজারে সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি! ডাম্পারের ধাক্কায় প্রাণ গেল কিশোরের
এর আগে দুর্গাপুরেও এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সামনে পরীক্ষা থাকায় ছেলেকে গেম খেলতে বারণ করেছিলেন মা। কিন্তু, তখন ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি, এই নিষেধের পরিণতি তাঁদের জীবনটা মুহূর্তে বদলে দেবে। মায়ের বারণ পছন্দ না হওয়ায়, আত্মঘাতী হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছিল দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে। জানা গিয়েছিল, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রের নাম রাশ। রাশের বাবা সঞ্জয় রাউতের আয় খুবই সামান্য। পেশায় তিনি ট্রাক চালক। কষ্ট করেই ছেলেকে পড়াচ্ছিলেন। ভর্তি করেছিলেন বেসরকারি স্কুলে। তাই ছেলের পড়াশোনার উপর বেশি জোর দিতে বলতেন। কিন্তু, তাতেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *