Primary TET : শিক্ষাগত যোগ্যতা কমে বেশি নম্বর ভাইভায়, প্রশ্নে তালিকা – primary tet exam educational qualification is lower than viva marks


স্নেহাশিস নিয়োগী
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ২০১৬ ও ২০২০-র মেধাতালিকায় শিক্ষাগত যোগ্যতার নানা মাপকাঠিতে পূর্ণমানের তুলনায় শুধু বেশি নম্বর বরাদ্দই হয়নি, আদালতের হস্তক্ষেপে ব্রেক-আপ মার্কস-সহ পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় আরও নানা অসঙ্গতি কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নজরে এসেছে। অভিযোগ, ২০১৬-১৭ সালে শিক্ষক নিয়োগে যে ৪২,৯৪৯ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে পর্ষদ, তাঁদের মধ্যে অ্যাকাডেমিক বা শিক্ষাগত যোগ্যতায় তুলনামূলক কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদেরই অ্যাপটিউড টেস্ট ও ভাইভা মিলিয়ে ১০-র মধ্যে ৯ নম্বর দেওয়া হয়েছে। আবার ২০২০-এর সাড়ে ১৬ হাজারের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, যাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর যত বেশি, ১০-এর মধ্যে তাঁরা তত কম নম্বর পেয়েছেন।

SSC Scam Case : টাইপ না-জেনেই স্কুলের ক্লার্ক! মামলা হতেই অদৃশ্য অযোগ্যরা
প্রকাশিত দু’টি মেরিট লিস্ট তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, ২০২০-২১ সালে নিয়োগপত্র পাওয়া প্রার্থীদের টেট, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাকাডেমিক মার্কস যোগ করলে প্রাপ্ত নম্বর এমন দাঁড়াচ্ছে যা ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেলে নাম থাকা প্রার্থীদের থেকে অনেকটাই বেশি। ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে যত জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের যা স্কোর, তুলনায় ২০২০-২১’এ নিয়োগপত্র পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের সিংহভাগেরই প্রশিক্ষণ ও ইন্টারভিউ ছাড়া স্কোর অনেক বেশি। ২০১৬ সালের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোর কম হলেও ভাইভা ও অ্যাপটিউড টেস্টে ৮/৯ নম্বর দিয়ে স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

D.EL. ED Exam 2022 : ডিএলএড: প্রশ্নপত্র বিতর্কে সিআইডি-র পথে সরকার
অন্য দিকে, ২০২০-র সাড়ে ১৬ হাজার প্রার্থীর ভাইভা/অ্যাপটিটিউড টেস্ট মিলিয়ে ১০-র মধ্যে অধিকাংশেরই প্রাপ্তি মোটে ৪/৪.৫ নম্বর। এত কমিয়েও ২০২০-র অনেকের স্কোর ২০১৬-১৭’য় নিয়োগপত্র পাওয়া ৪২,৯৪৯ জনের থেকে বেশি। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির হাতযশেই তাঁরা ২০১৬-র প্যানেলে চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। যদিও ২০২০-২১’এ তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে বাধ্য হয় পর্ষদ। কিন্তু এর জেরে সাডে় ১৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার সিংহভাগের বেশি স্কোর সত্ত্বেও ২০২০-২১’এর সফল প্রার্থীদের তুলনায় বাড়ি থেকে ঢের দূরে চাকরি করতে বাধ্য হয়েছেন। অন্য দিকে, ২০১৬-র প্যানেলের শেষেও ছিলেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের জেলাতেই নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন।

SSC Scam : গ্রুপ-ডি’র কর্মচ্যুত ৫০ জনকে জিজ্ঞাসা
নদিয়ার চাকদহের সুখেন মণ্ডলের কথায়, ‘আমার ২০১৭-তেই চাকরি পাওয়ার কথা। কিন্তু পর্ষদের প্রথম বারের বঞ্চনায় বীরভূমের দুবরাজপুরের স্কুলে চাকরি করতে বাধ্য হয়েছি।’ উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার সুনীতা বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকে স্কুল দেওয়া হয়েছে মালদহের মানিকচকে। শিয়ালদহ থেকে মালদহ টাউনে গিয়ে ওখান থেকে আবার বাসে মানিকচক যাই।’ যদিও পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি মঙ্গলবার রাতেই তালিকায় ভুল ও অসঙ্গতির কথা স্বীকার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১১ ডিসেম্বরের পর তা সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু প্রাথমিকে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি, ইতিমধ্যে তাঁদের জীবন থেকে পর্ষদ ৫ বছরে কেড়ে নিয়েছে। এখন দ্রুত নিজের জেলার স্কুলে বদলির ব্যবস্থা করুক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *