দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন (Allu Arjun) অভিনীত সুপারহিট ফিল্ম ‘পুষ্পা’-র কথা প্রায় সবারই জানা রয়েছে। এই ছবির গল্প ও গান অনেকেরই মুখে মুখে ফেরে। এবার খোঁজ মিলল বাস্তবের ‘পুষ্পা’-র (Pushpa)। মহিলা ‘পুষ্পা’-র হদিশ পাওয়া গেল পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার কাটোয়ায়। সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে চুরির পর চম্পট দিয়েও লাভ হল না পুষ্পার।

হাইলাইটস
- সিনেমা নয় বাস্তবের পুষ্পার হদিশ মিলল কাটোয়ায়
- সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে গয়না হাতিয়ে চম্পট দিত পুষ্পা খাতুন
- কাটোয়ার একটি সোনার দোকানে চুরি করেছিল পুষ্পা, তারপরই পুলিশের জালে ধরা পড়ে
ঠিক কী হয়েছিল?
প্রতিবারের মতোই বুধবারও কাটোয়া শহরে সোনার দোকানে ঢুকেছিল পুষ্পা। আর ক্রেতা সেজে সেই দোকান থেকে সোনার গয়না হাতিয়ে পালানোর সময়ই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পুষ্পা খাতুনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সালার থানার কুলুরি গ্রামে। ধৃতের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার গয়না এবং নগদ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কাটোয়া শহরের কাছারি রোডের একটি সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে পুষ্পা খাতুন হাতসাফাই করে পালিয়েছিল। ভেবেছিল এবারও তাকে আর পুলিশ ধরতে পারবে না। কিন্তু, শেষরক্ষা আর হল না। দোকানের মালিক সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে তৎক্ষনাৎ কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পুষ্পার খোঁজ চালায় কাটোয়া থানার পুলিশ। এরপরই কাটোয়া রেলস্টেশনের কাছ থেকে ওই মহিলা অর্থাৎ পুষ্পাকে ধরে ফেলে পুলিশ।
তবে শুধুমাত্র কাটোয়াতেই নয়, বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকায় একটি সোনার দোকানেও ক্রেতা সেজে ঢুকে পুষ্পা গয়না চুরি করে পালিয়েছিল। দোকান মালিক দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে মহিলাকে চিহ্নিত করে। পরে লাভপুর থানার পুলিশ তার ছবি আশপাশের সমস্ত থানায় পাঠিয়ে দেয়। তবে এই ধরনের ঘটনা আর কোথায় কোথায় ঘটিয়েছে তা জানতে পুষ্পাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন চেয়ে কাটোয়া আদালতে পেশ করা হয়। পুষ্পার তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে লাভপুর থানার পাঠানো সিসিটিভি ফুটেজে মহিলার সঙ্গে এক কিশোরকে দেখা গিয়েছে। ওই কিশোর মহিলার ছেলে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ
