প্রতারিত যুবকের দাবি, প্রথমে তাঁকে NRS Medical College and Hospital-এর চারতলায় নিয়ে গিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তারপর সরকারি প্যাডে তাঁকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেয় অভিযুক্ত সুখেন। ওই চিঠি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে মাথায় বাজ পড়ে শেখরের। তখন সে জানতে পারে তাঁকে দেওয়া চিঠিটি ভুয়ো এবং তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সুখেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর নাগাল পায়নি শেখর। বাধ্য হয়ে শেষেমেশ বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে সে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ, যদিও এখনও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রতারিত শেখর বলেন, “NRS Medical College and Hospital-এ ইন্টারভিউ দিতে গিয়েও আমি বুঝতে পারিনি যে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। নিয়োগপত্র নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে কাজে যোগ দিতে গেলেই গোটা বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার হয়।”
এই ঘটনায় শেখরের আইনজীবী রিনি ভদ্র বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের শিলমোহর ব্যবহার করে কীভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছি না। শিক্ষা দফতরে বড় ধরনের চাকরির দুর্নীতি সামনে এসেছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, SLST, প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ সহ একের পর এক সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বেনিয়ম হয়েছে, তা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তারমধ্যে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা এই অভিযোগ ঘিরে নতুন করে চাপান উতোর শুরু হয়েছে।
