জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম চন্দনা সরকার। গাইঘাটার শিমুলিয়ার বাসিন্দা তরুণীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই নববধূর স্বামী গাইঘাটার কুলঝুটির বাসিন্দা বরুণ মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ এতদিন প্রেম পর্ব চলার পরও বিয়ের সময় বেঁকে বসে সে। অথচ অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হতেই সে প্রেমিকার বারণ না শুনে বিয়ে করে নেন। প্রতিশোধেই নববধূর হামলা।
বুধবার রাতে বউভাত ছিল বরুণ মণ্ডলের। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় চন্দনার প্রেমিকের। বুধবার তাদের বউভাতের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বন্ধু-বান্ধব পাড়া প্রতিবেশীরা। এসেছিলেন চন্দনায়। জানা গিয়েছে, রাত একটা নাগাদ সমস্ত অনুষ্ঠান শেষে নবদম্পতিকে সবাই যখন ফুলশয্যার ঘরে পৌঁছে দিতে যান।
ফুলশয্যার নিয়ম পালন শুরু হতেই সোজা ঘরে ঢুকে আসে প্রাক্তন প্রেমিকা। একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েন নববধূর উপর। ফুলশয্যা কিছুতেই হতে দেবেন না বলতে বলতে দুই হাতে নববধূর স্তন ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন চন্দনা। বরুণ বাধা দিয়েও হার মানে আসুরিক বলের কাছে। নতুন বউয়ের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এসে কাণ্ড দেখে হতবাক সকলে। ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থা তরুণী। বাড়ির সকলের প্রচেষ্টায় উন্মত্ত প্রাক্তন প্রেমিকার হাত থেকে নববধূকে বাঁচানো সম্ভব হয়।
বরুণের বাড়ির লোকেরা অভিযুক্ত চন্দনাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় রাতেই। তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয় নববধূর। তবে ব্যর্থ প্রেমের এমন প্রতিহিংসার রূপ দেখে শিউরে উঠছেন সকলে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।