জানা গিয়েছে, আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের মান্দড়া গ্রামে একটি ফুটবল মাঠ রয়েছে। সেই মাঠে ওই গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের বহু ছেলেপুলে খেলাধূলা করে। কিন্তু হঠাৎ করে ওই গ্রামের মানুষেরা একটি দৈনিক কাগজের মাধ্যমে জানতে পারে আরামবাগ পুরসভার (Arambagh Municipality) ১৯ টি ওয়ার্ডের আবর্জনা ও বজ্র পদার্থ ফেলা হবে ওই মাঠে। এরপরেই আগুনে ঘি পড়ে। মাঠ বাঁচাতে মাঠে নেমে আন্দোলন শুরু করে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সেখ রেজাউল এলে তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। তাঁদের দাবি, খেলার মাঠে কোনও আবর্জনা ফেলা যাবে না। আরামবাগ পুরসভার ওই নোটিশ বা বিবৃতি প্রত্যাহার করতে হবে। যদিও এখন পযন্ত বাইশ মাইল এলাকার ওই মাঠে আবর্জনা ফেলা হয়নি। তবে পুরসভা হঠাৎ করে কেন পঞ্চায়েত এলাকায় আবর্জনা ফেলার সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিষয়টি নিয়ে মান্দড়া গ্রামের যুবক সেখ নাসিরউদ্দিন বলেন, “আমাদের দাবি, ফুটবল মাঠ যাতে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক থাকে। আবর্জনা ফেলা চলবে না। গ্রামের মানুষকে অন্ধকারে রেখে আরামবাগ পুরসভা (Arambagh Municipality) আবর্জনা ফেলার চেষ্টা করছে। তাই আরামবাগ মহকুমা শাসক থেকে শুরু করে জেলা শাসক সহ প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়।” অপরদিকে তিরল পঞ্চায়েতের সদস্য সেখ রেজাউল বলেন, “গ্রামের মানুষের পক্ষ থেকে আমাদের একটাই লক্ষ্য খেলার মাঠ সুরক্ষিত থাকতেই হবে। আরামবাগ পুরসভার আবর্জনা ফেলতে দেওয়া হবে না।”
যদিও তিরোল অঞ্চলের প্রধান আবদুস সুকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়টা কিছুই জানি না। তবে ফুটবল মাঠ বাঁচাতে ও আবর্জনা ফেলার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।” যদিও আরামবাগ পুরসভার (Arambagh Municipality) চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পুরসভা দাবি না মানলে খেলার মাঠ বাঁচাতে ইতিমধ্যেই বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে মান্দড়া গ্রামের মানুষ।