চাকরি পেতে লড়াই করেছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার পরই সরকারি স্কুলে চাকরি পান তিনি। আর এবার একটা নতুন সমস্যায় পড়েছেন এই শিক্ষিকা।
হাইলাইটস
- SSC দিয়ে স্কুলে চাকরি পেতে লড়াই করেছিলেন ববিতা সরকার
- মন্ত্রী কন্যাকে সরিয়ে চাকরিও পেয়েছেন তিনি
- এখন বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক নতুন সমস্যায় পড়েছেন ববিতা সরকার
প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি বরখাস্তের পর মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলে (Mekhliganj Indira Girls High School) চাকরি পেয়েছিল শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। আদালতের রায়ে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। এবার মেখলিগঞ্জ শহরে বাড়ি ভাড়া পেতে তাঁকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর জন্য খুব শীঘ্রই তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। ববিতার অভিযোগ, তিনি যে বাড়িতে ভাড়া ছিলেন তার মালিক তাঁকে সাতদিনের মধ্যে বাড়ি ছাড়তে বলেছেন। এরপর অনেক বাড়িতে ভাড়া ঠিক করলেও সেগুলির মালিকরা হঠাৎ করেই না করে দিচ্ছেন। আবার কোনও বাড়িতে ভাড়ার বিষয়টি ঠিক করা হওয়ার পর সেখানে গিয়ে দেখছেন বাড়িতে তালা ঝুলছে। বাড়ির মালিককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরছেন না। এই সমস্যায় ববিতা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।
শিলিগুড়িতে ববিতার বাড়ি। সেখান থেকে প্রতিদিন মেখলিগঞ্জের স্কুলে আসতে অনেক সমস্যা হচ্ছে তাঁর। সেই কারণে স্কুলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর মেখলিগঞ্জ শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন ববিতা। সম্প্রতি অজানা কারণে তাঁকে সেই বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। আবার নতুন বাড়ি ঠিক করতে গিয়েও পাচ্ছেন না। কয়েকটি বাড়ি ভাড়া প্রথমদিকে রাজি হলেও পরবর্তীতে বাড়ির মালিকরা কোনও কারণ না দেখিয়েই না করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। কী কারণ বলে প্রশ্ন করা হলে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকদের উত্তর, নানাভাবে তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কারা চাপ দিচ্ছে প্রশ্ন করলে ববিতার বক্তব্য, “বাড়ির মালিককে বিভিন্নভাবে হয়রানি, সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে কারা এই কাজ করছে তা বাড়ির মালিকরা জানাচ্ছেন না।”
এই পরিস্থিতিতে কী করে মেখলিগঞ্জে থাকবেন তা নিয়ে ববিতা যথেষ্টই চিন্তিত। তিনি বলেন, “অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক বাড়ির মালিক আমাকে তাঁর বাড়িতে থাকতে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে তাঁর কাছেও চাপ আসবে কিনা জানি না। তাই সব কিছুই আমি আমার আইনজীবীকে জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।”
ববিতাকে শাসকদলের নেতারাই হয়রানি করতে পারে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলছে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক দধিরাম রায় বলেন, “ববিতা সরকারের লড়াইয়ে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছে। অনেক নেতা-মন্ত্রী জেলে গিয়েছে। ববিতা তাই শাসকদলের নেতা-কর্মীদের রোষের মুখ পড়ছেন।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের মেখলিগঞ্জ ব্লক সহ সভাপতি আনারুল মহম্মদ। তাঁর বক্তব্য, “ববিতা আইনি লড়াইয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাই ববিতাকে হয়রানির কোনও প্রশ্নই নেই।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ