স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের দেউচরাই পঞ্চায়েতে তোর্সা, কালজানি ও ঘরঘরা নদীর মিলনস্থল রয়েছে তাঁদের গ্রাম। তিন নদীর মধ্যে থেকে কোনও একটি নদী থেকে কুমিরটি কিছুদিন আগেই এখানে চলে আসে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই কুমিরের কামড়ে একটি ঘোড়া প্রাণ হারিয়েছে। ঘোড়সওয়ার কোনওভাবে তাঁর নিজের প্রাণ বাঁচান। কুমিরের তাড়া খেয়ে স্থানীয় একজন মাঝি কোনওরকমে নৌকা পাড়ে নিয়ে এসে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। স্বচক্ষে কুমির অনেকেই দেখেছেন বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কুমিরের ভয়ে কেউ নদীতে স্নান করতে নামছেন না। নদীর উল্টোপাড়ে অনেকের কৃষি জমি আছে। নদী পার হয়ে ওদিকে যেতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। এরপরেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বৃহস্পতিবার বন দফতরের লোকজন গ্রামে আসেন।
বন বিভাগের কোচবিহার (Cooch Behar) বিভাগের এডিএফও (ADFO) বিজনকুমার নাথ জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে পুরো ঘটনার কথা জানার পর একজন বিট অফিসার সহ কয়েকজন বনকর্মীকে ওই গ্রামে পাঠানো হয়। তাঁরা অনেক খোঁজাখুঁজিও করেছেন। কিন্তু, কুমিরের দেখা পাননি। তবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। তুফানগঞ্জ-১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সামিউল ইসলাম জানান, নদীতে কুমিরের দেখা মেলায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত। তাঁরা নদী পেরিয়ে উল্টোদিকে চাষের জমিতে যেতে পারছেন না। ধান কাটার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা চাইছেন, বন দফতর (Forest Department) কুমিরটি ধরার করার ব্যবস্থা করুক।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে কুমিরের আতঙ্ক ছড়ায় মুর্শিদাবাদে। ফরাক্কার গঙ্গায় (Ganga River) এদিন দেখা মেলে কুমিরের (Crocodile in Ganga River)। প্রথমে ব্যারেজের ১২নং গেটে দেখা যায় কুমিরটিকে (West Bengal News)। ছট পুজোর দিনে পুণ্যার্থীদের জলে নামার আগেই কুমির দেখা যাওয়ায় এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ফরাক্কা ব্যারেজের ১২ নং গেটের কাছে দেখা যায় বিশাল কুমিরটিকে। পরে বেলা বাড়লে ব্যারেজের ডাউন স্টিমেও পুনরায় দেখা যায় সেই কুমিরটিকে। এর আগে গত অগাস্ট মাসে দামোদরে দেখা মেলে অতিকায় কুমিরের। বাংলা সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সুদামডিহি ও পাঞ্চেতের মাঝে প্রায় ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের কুমির নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়।