প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর থেকেই ‘চোর’ উবাচ বহুল ব্যবহৃত হতে শুরু করে রাজ্য রাজনীতিতে। গতকালই এক সভা থেকে বাগদার বিধায়ক আওয়াজ তোলেন, “আমরাও ঠিক করে নিয়েছি, আজকের পর থেকে কোথাও কুরুচিকর কথাবার্তা বলতে এলে তার প্রতিবাদ করা হবে। আমাদের দলের শিষ্টাচার, শালীনতা রয়েছে। তবে BJP যে ভাষায় কথা বললে বুঝবে, কর্মীদের সে ভাষায় কথা বলতে বলা হয়েছে।” পালটা দিলীপ ঘোষের যুক্তি, “চোরকে চোর বললে খারাপ লাগবেই। কানাকে কানা বলা যায়না। খোঁড়াকে খোঁড়া বলা যায়না। শুনতে খারাপ লাগে। কিন্তু উপায় কী বলুন?” বিষয়টি নিয়ে এর আগে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা ও সাংসদ সৌগত রায়কেও (Sougata Ray) জোরালো প্রতিবাদ করতে শোনা যায়। সৌগত বলেন, “সিপিএম, বিজেপি যদি আমাদের চোর বলে উত্যক্ত করে, তাহলে কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না, আমরা রুখে দাঁড়ালে ওদের এলাকাছাড়া হতে হবে।”
তবে, রাজ্যে দুর্নীতি ইস্যু মাথাচাড়া দিতেই “চোর ধরো, জেল ভরো” কর্মসূচি নেয় বিরোধী দলগুলি। একাধিক প্রচার সভায় BJP রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari) “চোর ধরো, জেল ভরো” স্লোগান তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে শোনা যায়। প্রচারের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলা হয় এই স্লোগানকে। বিষয়টি নিয়ে দিলীপের যুক্তি, “চোর তো চোরই। আমরা একা বলছি না। সারা দেশ বলছে। কোর্ট বলছে। CBI বলছে। নাহলে তোমাদের লোকেরা জেলে কেন? চুরি করো কেন?”
শুক্রবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বোমা, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন তিনি। গতকালই কুলতলির পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙর থেকে প্রচুর বোমা তৈরির সরঞ্জাম, মশলা, বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দিলীপের সমালোচনা, “এটাই এখন এ রাজ্যের একমাত্র শিল্প। যেখানে সেখানে গড়ে উঠছে। প্রোপ্রাইটার তৃণমূল নেতারা। মাঝে মাঝে টেস্ট হচ্ছে। নিজেদের পার্টির মধ্যে হচ্ছে। মাঝে মাঝে অন্যের ওপর হচ্ছে। মানুষ চিন্তিত। এলাকা মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে। পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর কোনো আওয়াজ নেই।”