ধৃতদের মধ্যে তিনজনের পুলিশি হেফাজতের (Police Custody) আবেদন করে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে (Bardhaman Court) পেশ করল বর্ধমান থানার পুলিশ (Bardhaman Police Station)। এই তিনজনই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি পুলিশের৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে NH2B-র সাঁই কমপ্লেক্সের কাছে অভিযান চালায় পুলিশ৷ সেখান থেকেই আট দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ওয়ান শাটার পাইপ গান, একটি গুলি ও একটি অ্যান্টিক কয়েন। নিজেরাই এই কয়েন তৈরি করে অ্যান্টিক বলে প্রচুর দামে এগুলো বিক্রি করে মানুষকে ঠকাত বলে ধৃতরাই জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের৷
DSP ট্র্যাফিক ২ রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘‘সোর্স মারফত আমাদের কাছে গতকাল মাঝ রাতে খবর আসে৷ সেই খবরের ভিত্তিতে আমরা সাঁই কমপ্লেক্সের কাছ থেকে আটজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করি৷ তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি কয়েন পাওয়া গিয়েছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওরা এই কয়েন দেখিয়ে লোকজনকে ঠকাত৷ আটজনকেই আমরা আদালতে পেশ করেছি৷ তিনজনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল এদের৷ এরা মূলত ডাকাতি, ছিনতাই এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেই মনে হচ্ছে৷ আমরা তদন্ত করে দেখব আরও অন্য কোনও জায়গায় এরা এসব কাজে যুক্ত ছিল কিনা৷ এদের সঙ্গে আরও কেউ রয়েছে কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষ৷ এরা নিজেরাই অ্যান্টিক কয়েনও তৈরি করত বলে জেরায় জানা গিয়েছে৷’’ আরও জানা গিয়েছে, এদের সম্বন্ধে আরও খোঁজখবর নিতে বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করছে বর্ধমান থানার পুলিশ৷ মুম্বই থেকে আসা ব্যক্তিকে প্রধান অভিযুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ৷