এদিন সকাল সকাল ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলেই মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে তৈরি ছিলেন। সুন্দরবনের (Sundarban News) তিন দিনের সফর শেষে ফেরার পথে, হেলিপাড গ্রাউন্ডে যাওয়ার সময় টাকি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ভবনাথ বয়েজ স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়েছিলেন একবার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ছিল ফুল আর মুখে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি। ইচ্ছে ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার। কিন্তু পরীক্ষা চলায় সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠেনি মুখ্যমন্ত্রীর৷ আর নিরাপত্তার কারণে আর বেশি সময় সেখানে দাঁড়ানোও সম্ভব হয়নি তাঁর। তাই রাস্তায় গাড়ির মধ্যে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুভেচ্ছার ফুল গ্রহণ করেন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রদের কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফুল গ্রহণ করে হাতজোড় করে নমস্কারও করেন শিক্ষকদের উদ্দেশে৷
এরপরই তাঁর কনভয় সেখান থেকে বেরিয়ে যায়৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর সশরীরে স্কুলে না এলে কী হবে, তাঁর নির্দেশে বড়দিনের উপহার পৌঁছে গিয়েছে টাকি ভবনাথ বয়েজ স্কুলে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে বড়দিনের উপহার পেলেন ওই স্কুলের ছাত্র সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রায় ৪০০ জন ছাত্র সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চকলেট, কেক, ফুল, মিষ্টি উপহার নিয়ে হাজির হলেন প্রশাসনিক কর্তারা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার ডক্টর জবি থমাসকে নির্দেশ দেন এই উপহার পৌঁছে দিতে। সেই মতো অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যানরা শুক্রবার নির্ধারিত স্কুল টাইমে স্কুল গেটে ঢোকার মুখে প্রায় ৪০০ ছাত্রের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো উপহার তুলে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে উপহার পেয়ে রীতিমতো খুশি ছাত্র ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র দ্বৈপায়ন বিশ্বাস বলে, ‘‘কেউ তো চকোলেট দেয় না, মুখ্যমন্ত্রী দিলেন, আমরা খুব খুশি৷ উনি আজ এখান দিয়ে যাওয়ার সময় আমরা দাঁড়িয়েছিলাম তাঁকে দেখার জন্য৷ এরপরই বড়দিনের উপহারস্বরূপ তিনি আমাদের চকোলেট পাঠিয়েছেন৷’’ টাকি পুর সভার উপ পুরপ্রধান ফারুক গাজির কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এখানে এলেও, পরীক্ষার জন্য ভিতরে যেতে পারেননি৷ তাই প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এই লজেন্স, মিষ্টি, ফুল উপহার হিসেবে ছাত্রদের হাতে দিয়ে দেওয়ার জন্য৷’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলা সফরে গেলে মানুষের মধ্যে মিশে যাওয়ার ছবি নতুন কিছু নয়৷ কখনও গৃহস্থ বাড়িতে ঢুকে শিশু কোলে তুলে নেওয়া, বা কখনও দাওয়ায় বসে খোঁজখবর নেওয়া। আবার কখনও চায়ের দোকানে ঢুকে চা বানানো, চপ ভাজার ঘটনাও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি সুন্দরবনে গিয়ে চালকের কেবিনে বসে লঞ্চ চালাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে৷