অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ ইকুইপড পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে (Auckland Powerlifting Commonwealth Championship) ছয়টি সোনা জয় করলেন দুর্গাপুরের (Durgapur) বধূ সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই চ্যাম্পিয়নশিপ (Championship)। মোট ১৬টি দেশের প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। আর ভারত থেকে যোগ দেন ৮০ জন। সেই তালিকায় ছিলেন সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশিক্ষক অংশু সিংও।
হাইলাইটস
- অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ ইকুইপড পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয় দুর্গাপুরের বধূর
- মোট ১৬টি দেশের প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়
- সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়ের প্রশিক্ষকও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রূপো জয় করেছেন
২৯ নভেম্বর ছিল ইকুইপড ও ক্লাসিক বেঞ্চপেস প্রতিযোগিতা। সীমা ৬৩ কেজি দুটি বিভাগে দুটি সোনা জয় করেন। একই সঙ্গে অংশু সিং ৮৩ কেজি ইকুইপড বেঞ্চপেস বিভাগে একটি সোনা জয় করেন। ১ ডিসেম্বর ছিল ইকুইপড ও ক্লাসিক পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতার স্কোয়াট, বেঞ্চপেস ও ডেডলিফটিং। ওই তিনটি প্রতিযোগিতায় তিনটি সোনা জয় করেন। এবং ওভার অল একটি সোনা জয় করেন। একই সঙ্গে স্ট্রংগেস্ট ওমেন প্রথম রানার আপ হন সীমা। সংসারের কাজ সামলে নিজেকে তৈরি করা একজন গৃহবধূর কাছে দৃষ্টান্তই শুধু নয়, বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় এটি। তাঁর সাফল্য আর পাঁচটা মেয়েকে প্রেরণা জুগিয়েছে। এই জয়ের পর সীমা বলেন, “সংসারের কাজ সামলেও লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। এর জন্য নিজেকে খুব গর্বিত বলে মনে হচ্ছে।”
একই সঙ্গে অংশু সিং সীমার প্রশিক্ষক। তিনিও এবারে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। অংশু কলকাতার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকেন। অংশু সিং ৮৩ কেজি ইকুইপড বেঞ্চপ্রেস বিভাগে একটি সোনা জয় করেন। এবার ইকুইপড ও ক্লাসিক পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতার স্কোয়াটে একটি সোনা, বেঞ্চপেসে একটি রূপো ও ডেডলিফটিং একটি সোনা জয় করেন। একই সঙ্গে স্ট্রংগেস্ট ম্যান প্রথম রানার আপ হন তিনি।
তবে শুধুমাত্র এই বছরই নয়, এর আগে এশিয়ান ইকুইপড পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়। ওই প্রতিযোগিতায় ভারত ছাড়াও অংশ নিয়েছিল কাজাকস্তান, মঙ্গোলিয়া, ইরান, জাপান, উজবেকিস্তান, ওমান, কুয়েত সহ অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রা। সীমা বলেন, “আমি বরাবর শরীর চর্চা করতাম। ২০১৯ সাল থেকে পাওয়ার লিফটিং শুরু করি। রাজ্য স্তর থেকে জাতীয় স্তরে একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করি। সেই সব প্রতিযোগিতায় জয়ী হতেই আকাঙ্খা বাড়তে থাকে। এখন আমাকে দেখে দুর্গাপুরের অনেক মহিলা অনুপ্রেরিত হয়ে পাওয়ার লিফটিং শুরু করেছেন।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ