School Admission West Bengal : সরকারি স্কুলে ভর্তি করাতেও রাত জেগে লাইন, শান্তিপুরে উলটপূরাণ – huge queue of parents for admitting their child to government school at santipur


West Bengal News শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা রাজ্য। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক লহমায় অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এর মাঝেও সরকারি স্কুলে ভর্তির উল্টো ছবি ধরা পড়ল নদিয়ায় (Nadia)। এতদিন যেটা কলকাতা এবং শহরতলিতে দেখা যেত সম্প্রতি তা দেখা গেল নদিয়ার শান্তিপুরেও (Shantipur)। স্কুলে ভরতির আবেদন পত্র নিতে আগের দিন রাত থেকে পড়ছে লাইন। গভীর রাত থেকে অপেক্ষায় বিনিদ্র অভিভাবকরা।

Mid Day Meal : মিড ডে মিলের রাঁধুনি ক্লাস নিচ্ছেন স্কুলে! বিতর্ক মালদায়
শীতের প্রকোপ এবং ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মাঝেও মশার কামড়কে উপেক্ষা করেই সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করার ইঁদুর দৌড়ে সামিল অভিভাবকরা। প্রথম সারিতে থাকার অদম্য প্রচেষ্টা। শান্তিপুর রাধারানি নারী শিক্ষা মন্দিরে ২০০ জনকে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য শুক্রবার ফর্ম দেবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই ঘোষণায় গভীর রাত থেকেই স্কুলের গেটের সামনে হাজির বাবা-মায়েরা। একদিনে ফর্ম দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্যই হয়তো এত ভিড় এমনটাই মনে করছেন সুশীল সমাজ। না হলে শান্তিপুরে আরও বেশ কিছু নামি বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে অথচ কোনওভাবেই সেখানে লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

Bankura College: উপস্থিতির হার কম, পরীক্ষায় বসতে না পেরে বাঁকুড়া কলেজে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলছেন, বিদ্যালয়ের প্রচারে আলোতে আসার কৌশল। এক অভিভাবক লক্ষ্মী রায় বলেন, “স্কুলের তরফে আগে থেকে নাম লেখানোর ব্যবস্থা করলে ভালো হতো। ১৩০ টি আসন রয়েছে, আগে থেকে ভর্তি না হয়ে যায় তার জন্য রাত থেকে লাইন দিতে হচ্ছে।” আরেক ছাত্রীর মা সবিতা বর্মন বলেন, “আমার মেয়ে এই স্কুলেই পড়বে। ওর শখ। তাই আশেপাশে অন্যান্য স্কুল থাকলেও এই স্কুলের জন্য আবেদন পত্র তুলতে এসেছি।”

Mid Day Meal : স্কুলের সামনে জমে নোংরা জল, গেটে তালা ঝুলিয়ে অভিভাবকদের বিক্ষোভ
তবে অভিভাবকরা সন্তানদের পছন্দমত বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে সকলেই একটি বা দুটি বিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করছেন। অথচ, শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেই যে ছাত্রছাত্রীরা ফলাফল করবে এমন নয়। অপেক্ষাকৃত কম ছাত্র-ছাত্রী আছে এমন বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হয়। এমনটাও বলছেন অনেকেই। বিভিন্ন শিক্ষানুরাগীরা মনে করেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্ষমতা থাকা উচিত। এমনও বিদ্যালয় আছে ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবে ধুঁকছে। ছাত্র-ছাত্রীর অভাবে অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হতে পারে আগামীতে। তবে প্রশ্ন একটা, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য অভিভাবকদের অতি সচেতনতার মূল্য কি তাঁরা আগামী দিনে দেবেন? তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চায়নি। অথচ, অনেক অভিভাবকদের মতে, আগে থেকে নথিভুক্তকরণ বা নাম লেখানোর ব্যবস্থা থাকলে এই হয়রানিটা হতে হতো না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *