TMC : ঘরে ফেরা নেতাকে নিয়ে বিব্রত তৃণমূল – malda bjp minority wing leader sheikh yasin again back in trinamool congress


মানস রায়, মালদা:
ঘরে ফেরা নেতাকে ঠাঁই দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মুকুল রায়ের হাত ধরে দলে ফিরে আসা নেতাকে মানতে চাইছেন না কেউ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীরা নয়, দলের ভিতরের এই কোন্দলে চিন্তিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তর মালদার দাপুটে নেতা ইয়াসিন শেখ এলাকায় নিজের দাপটেই জনপ্রিয়। আরএসপি থেকে তৃণমূলে এসে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের স্ত্রীকে জেলা পরিষদ আসনে জিতিয়ে এনেছিলেন একক ক্ষমতায়। কিন্তু এলাকার দখল নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয়। ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। প্রায় পৌনে ২ বছর বিজেপিতে কাটিয়ে এক সপ্তাহ আগে তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে। মালদায় ট্রেন থেকে নেমে কয়েক হাজার মানুষের মিছিল নিয়ে এলাকায় ঢুকেলেও জেলার নেতারা তাঁকে এখনও পর্যন্ত নিজেদের লোক বলে মানতে নারাজ। ইয়াসিন অবশ্য উল্টে জেলা সভাপতিকেই বদলানোর ডাক দিয়ে দিয়েছেন।

Trinamool Congress : কেষ্টহীন বীরভূম! পঞ্চায়তে নির্বাচনের আগে জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে অভিষেক
ফলে সব মিলিয়ে মালদায় তৃণমূলের সংগঠন ফের বিড়ম্বনায়। উত্তর মালদা, বিশেষ করে রতুয়া বিধানসভা এলাকায় ইয়াসিন শেখ বড় নাম। রাজনৈতিক নেতার চাইতেও তাঁর রবিনহুড মার্কা ইমেজটাই বেশি পরিচিত। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্ত্রীর জন্য তৃণমূলের টিকিট আনতে কলকাতায় গিয়ে একঝাঁক জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বসেন। তবে ভোটে লড়াইয়ের টিকিট না মিললেও দলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সহ সভাপতির পদ পেয়ে যান। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে আবার ফিরে এসেছেন তৃণমূলে।

Suvendu Adhikari : শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নালিশ, তবে পাত্তা দিচ্ছে না দিল্লি
এদিকে তৃণমূলে থাকতে তিনি যাঁকে তাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছিলেন সেই সমর মুখোপাধ্যায় পুনরায় বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে এখন দলের জেলা চেয়ারম্যানও। ফলে তৃণমূলে ফিরলেও ইয়াসিন শেখ বেশ চাপে। তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি বিধায়ক রহিম বক্সিও উত্তর মালদার মানুষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘তৃণমূলে যে যখন খুশি এলাম বললেই আসা যায় না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এটা নতুন কোনও চক্রান্ত হতে পারে। আর মুকুল রায়ের কোনও এক্তিয়ার নেই কাউকে দলে নেওয়ার। এব্যাপারে রাজ্য কমিটির স্পষ্ট গাইড লাইন রয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছাড়া কেউ দলে গ্রাহ্য হবেন না।’ ইয়াসিন শেখ অবশ্য জেলা নেতৃত্বের কথায় আমল দিতে নারাজ। তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘রহিম বক্সিরা এতদিন ফাঁকা মাঠে লুটেপুটে খেয়ে সংগঠনটার বারোটা বাজিয়েছেন। সেটা এবার বন্ধ হবে বলে ওদের আতঙ্ক। সভাপতিও বদলাতে হবে।’ এই দ্বন্দ্ব নিয়ে কর্মীদের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক নেতার ঘরে ফেরা নিয়ে সঙ্কটে জেলা তৃণমূল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *