দত্ত পরিবারে কার্যত খুশির হাওয়া। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁরা সন্তানের মুখ দেখতে চাইছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁরা প্রার্থনা করছিলেন। কিন্তু, যমজ সন্তান সংসারে আসায় তাঁরা অত্যন্ত খুশি। তপন দত্ত বলেন, “আমাদের একমাত্র সন্তান ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যায়। আমরা তখন দিশেহারা। আমরা প্রচণ্ড মানসিক কষ্ট পাই। তখনই বুঝি একটি অবলম্বনে প্রয়োজন রয়েছে। এরপরেই আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিই। চিকিৎসরা প্রথমে বলেছিলেন রূপার জীবনের ঝুঁকি থাকতে পারে। এরপর আমরা পিছিয়ে আসি। কিন্তু, পরে বালির এক চিকিৎসক আমাদের আশার আলো দেখিয়েছিলেন। তাঁর কথামতোই আমরা চিকিৎসা করি।”
লক্ষ্মী পুজোর পরের দিন দত্ত পরিবারে দুই সন্তান আসে। খুশি ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তপন দত্ত। তিনি জানান, পুলিশের কাজ করার জন্য পরিবারকে বেশি সময় দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু, দুই খুদেকে সমস্ত সময়টা দিতে চান। বড় সন্তানের মৃত্যুর শোক এখনও ভুলতে পারেননি তিনি। তবে নতুন দুই খুদের দিকে চেয়ে জীবনে নতুন করে বাঁচার লক্ষ্য পেয়েছেন তিনি। তপন দত্তের বিশেষ বার্তা, “অনেকেই আমার মতো সন্তানহারা হয়েছেন। ফের সন্তান নিতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের বলছি, ভয় পাবেন না। নতুনভাবে জীবনে এগিয়ে চলুন।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।