Elephant Attack : জখম গজরাজ, বাঁচাতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা – locals started treatment of a injured elephant in dooars


ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত নিত্য দিনের ঘটনা। মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে হামলা চালায় হাতির পাল। দাঁতালের তাণ্ডবে রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না স্থানীয়রা। এবার ধরা পড়ল অনব্য ছবি।

 

elephnat

হাইলাইটস

  • ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত নিত্য দিনের ঘটনা
  • হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা
  • এবার হাতির প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া দুই গ্রামের বাসিন্দারা
West Bengal News : ডুয়ার্সের (Dooars) বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত নিত্য দিনের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিন হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয় মানুষের চাষের ক্ষেত থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি। হাতির হামলার মৃত্যুর সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। যেই দাঁতালের তাণ্ডবে (Elephant Attack) রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না জঙ্গল (Forest Area) লাগোয়া এলাকার বনবস্তি এবং গ্রামের বাসিন্দারা। রাত ও ভোরের দিকে খাবারের (Food) সন্ধানে লোকালয়ে দাপাদাপি শুরু করে দেয় হাতির দল। এবার সেই হাতির প্রাণ বাঁচাতেই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দুই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। Elephant Death : ট্র্যাকে হাতি এলেই সতর্কবার্তা দেবে সেন্সর, অঘটন এড়াতে ডুয়ার্সে নয়া প্রযুক্তি রেলের
ঠিক কী হয়েছিল?
বিগত কয়েকদিন থেকে জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ডায়না রেঞ্জের খ্যার কাটার জঙ্গলে একটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসীরা। হাতিটির পিছনের ডান পায়ে সংক্রমণ থাকায় সে নড়াচড়া করতে পারছে না। যন্ত্রণায় রীতিমতো কাতরাচ্ছে। পিছনের পায়ের অনেকটা অংশ ফুলেও গিয়েছে। এই দৃশ্য দেখার পরেই নাগরাকাটার ধূমপাড়া এবং খেড়কাটা এলাকার বাসিন্দারা সেই হাতিটির খাবারের জোগাড় করতে শুরু করে। যেই কলাবাগান সবজি খেতে এতদিন হাতির দল তাণ্ডব চালাত সেই কলাবাগান থেকেই কেটে আনা হয়েছে কলা গাছ জমি থেকে তুলে আনা হয়েছে সবজি। Siliguri Intercity Express : চালকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দাঁতালের
হাতির কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয়রা
হাতি ব্যাপক তাণ্ডব চালালেও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় হাতিকে দেবতার সঙ্গে তুলনা করা হয়। কোন কোন জায়গায় হাতিকে মহাকাল রূপে পুজো করা হয়। কাজেই তার রূপ যতটাই ভয়ঙ্কর হোক না কেন আদতে সে ভগবান স্বরূপ। কাজেই চোখের সামনে এইভাবে একটি বন্য জন্তুর মৃত্যু হবে এটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাই কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেই হাতিটির কাছে। অন্যান্য সময় হাতি সাধারণ মানুষকে দেখলে তেড়ে যায়। এই ক্ষেত্রে যেন একদম উলটো ছবি দেখা গিয়েছে। গ্রামবাসীরা তার কাছে গিয়ে খাবার তুলে দিলেও সেই আক্রমণাত্মক স্বভাব আর দেখা গেল না। হাতিটিও যেন প্রতিদিন অপেক্ষা করে থাকে গ্রামবাসীদের জন্য। Elephant Attack : খাবারের সন্ধানে মুদির দোকানে হাতির হানা, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর
তবে সব ঠিক থাকলেও গ্রামবাসীদের আক্ষেপ সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না হাতিটির। সঠিক চিকিৎসা না হলে হাতির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে আর এই কারণেই হাতিটি সঠিকভাবে চিকিৎসার দাবি জানানো হয়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে। এদিকে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটির পায়ের সংক্রমণের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বিগত দু’দিনের থেকে শনিবার হাতির পায়ের পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। পাকা কলার ভিতরে ওষুধ দিয়ে সেটি খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাতিটির শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বন দফতর থেকে শুরু করে গ্রামবাসী সকলে চাইছেন যেন হাতিটি ফের একবার সুস্থ হয়ে ফিরে যাক তার নিজের জঙ্গলে।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *