এই ৫৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে নবম- দশম শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকা যেমন রয়েছে, তেমনই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পাঠানো নোটিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে ওই শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এই ৫৬ জনের মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির ৩৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ২২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। নবম ও দশম শ্রেণির ৩৪ জনের মধ্যে কোচবিহারের কাটামারি হাই স্কুলের তিন জন, শীতলকুচি গোপীনাথ হাই স্কুলের দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ভাওরথানা হাই স্কুলের দু’ জন, শিঙ্গিমারি হাই স্কুল, ছাটরাম্পুর হাই স্কুল, খলিসামারি পঞ্চানন হাই স্কুল, গিতালদহ হাই স্কুল, মাথাভাঙা হাই স্কুল সহ বেশ কিছু বিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষিক বা শিক্ষিকার নাম রয়েছে।
অন্যদিকে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ছাটগুড়িয়াহাটি হাই স্কুল, সেবাভবন হাই স্কুল, তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল, দিনহাটা শোনিদেবী জৈন হাই স্কুল, বড়শোলমারি ঠাকুর পঞ্চানন বিদ্যালয়, ওকরাবাড়ি আলাবক্স হাই স্কুল, চৌধুরীহাট বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির সহ কোচবিহার জেলার বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কমিশনের তরফে যে ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের লিস্ট প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে রাজ্য শিক্ষা দফতরের চেয়ে পাঠানো তালিকার নবম -দশম শ্রেণির ১২ জন রয়েছেন।
কোচবিহার জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা দফতর যে নোটিশ পাঠিয়েছে, তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোতে ওই সমস্ত শিক্ষক – শিক্ষিকাদের যাবতীয় তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেলে গিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক৷ এনিয়ে বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে৷ সেই আবহে নড়েচড়ে বসল রাজ্য৷ কোচবিহার জেলার ৫৬ শিক্ষক-শিক্ষিকার যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানোকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা বলেও অভিহিত করছেন কেউ কেউ৷