Bagtui Incident : বগটুইকাণ্ডে CBI-র জালে মূল অভিযুক্ত, আগুন লাগানোর অভিযোগ লালন শেখের বিরুদ্ধে – cbi arrested lalan sheikh in birbhum bagtui murder case


CBI Investigation: CBI-র হাতে ধরা পড়ল বগটুই-কাণ্ডের (Bogtui Murder) মূল অভিযুক্ত লালন শেখ ওরফে ছোট লালন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বগটুইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। বগটুইয়ের নিহত তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress Leader) ভাদু শেখের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল লালন। বীরভূমের বগটুই গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে অনেকজন গ্রামবাসীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। লালনের নেতৃত্বেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ ছিল স্থানীয় গ্রামবাসীদের। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। অবশেষে CBI-র জালে ধরা পড়ল হাড়হিম করা ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত।

Birbhum Massacre: গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্তরা! তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে গ্রেফতার ৩
তবে কোথা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে চাননি CBI আধিকারিকরা। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্র জানা গিয়েছে, গোপনসূত্রে তাদের কাছে লালনের বিষয়ে খবর আসে। সেই মতো যাবতীয় পরিকল্পনা করে অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে CBI।

Birbhum Massacre: মিহিলালের সামনে জেরা আনারুলকে
রাজ্য সরকারের তৈরি করা SIT-র হাত থেকে বগটুইয়ের ঘটনা তদন্ত CBI-র হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা আদালত। ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে লালন শেখের নাম উঠে আসে। CBI-র তরফে আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে লালনের নাম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখিত ছিল। বগটুইের হাড়হিম করা ঘটনার পরের দিন এলাকায় তাঁকে দেখা গেলেও তারপর থেকে সে ফেরার ছিল। সম্পতি এই মামলায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে CBI। সম্ভবত তাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার লালনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভাদু শেখের সম্পত্তির হিসাব নেবে ED
উল্লেখ্য, বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের পরই ২১ মার্চ বগটুইয়ে নৃশংস হত্যালীলা চলে। গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে ঝলসে শিশু ও মহিলা সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। হত্যালীলার পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিহতের পরিবারদের রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে এই মামলায় সিট গঠন করে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল শেখকে গ্রেফতারির পর ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় আদালত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *