Bankura News Today : ফোনে ব্লু টুথের যুগ শেষ! ক্ষুদ্রতম অ্যান্টেনা তৈরি করলেন বাঁকুড়ার বিজ্ঞানী – bankura scientist dr srikanta pal creates smallest antenna for mobile phone


West Bengal News লাগবে না ‘ব্লু টুথ’ (Bluetooth) পরিষেবা। আপনার ব্যবহৃত মোবাইলে একটি ছোট অ্যান্টেনা করে দেবে বড় বড় ফাইল ট্রান্সফারের কাজ। যা ‘ব্লু টুথ’এর থেকে আরও বেশি কার্যকরী। অ্যান্টেনার রেঞ্জ থাকবে ১০০ মিটার পর্যন্ত। তারবিহীন যোগাযোগের অন্যতম এই পদ্ধতি আবিস্কার বাঁকুড়ার এক বিজ্ঞানীর। মাত্র ২৬ বছরের মধ্যেই বিশ্বের সব থেকে ক্ষুদ্রতম অ্যান্টেনা তৈরি করে সাড়া ফেললেন ডঃ শ্রীকান্ত পাল। তাঁর তৈরি বিশ্বের এই ক্ষুদ্রতম অ্যান্টেনা তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Jhalda Municipality : বোর্ড গঠনের আগেই ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ রাজ্যের, আদালতে যাচ্ছে কংগ্রেস
ডঃ শ্রীকান্ত পাল জানিয়েছেন, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম অ্যান্টেনা তো বটেই, ব্লু টুথ যেখানে ২.৪৫ থেকে ৩.৫ গিগাহার্টজ-এ কাজ করে, এই অ্যান্টেনা ১.৮ গিগাহার্টজ থেকে ১৮ গিগাহার্টজ পরিষেবায় কাজ করবে। একই সঙ্গে দু’টি মোবাইল, ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ, অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে এই অ্যান্টেনা ব্যবহার করা সম্ভব। এমনকি একশো মিটার এলাকার মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই চোখের পলকে বড় আকারের ফাইল আদান প্রদান করতে পারা যাবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থা আবিস্কারক শ্রীকান্ত পালের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ক্ষুদ্রতম অ্যান্টেনা বানিজ্যিকভাবে তৈরিতে উৎসাহ দেখাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

West Bengal Tourism: বিশ্বের দরবারে দার্জিলিঙকে তুলে ধরতে উদ্যোগ, পাহাড়ে জি ২০-র শীর্ষ বৈঠক
বিজ্ঞানী ডঃ শ্রীকান্ত পাল বাঁকুড়া জেলা স্কুলে পড়াশুনার পাঠ শুরু করেন। ঐ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের পর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন শহরের আর এক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খ্রিস্টান কলেজ থেকে। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.টেক, অক্সফোর্ড (Oxford University) থেকে পি.এইচ.ডি, বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোষ্ট ডক্টরেট করেন তিনি। কর্মজীবনের শুরু ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডে। অধ্যাপনা করেছেন দিল্লী ও রুড়কি আই.আই.টি-তে। বর্তমানে রাঁচির মেশরার বিড়লা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (Birla Institute of Technology) অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত তিনি।

Dakshin Dinajpur News : একাঙ্ক নাটকে রাজ্যস্তরে দ্বিতীয় স্থান অধিকার বালুরঘাটের সোহমের
বাঁকুড়ার এই কৃতি সন্তান সারা বিশ্বে বৈজ্ঞানিক মহলে সমধিক পরিচিত। এর আগেও আমেরিকায় বিশ্বের বৃহত্তম টেলিস্কোপ নাসার গ্রিন ব্যাণ্ড টেলিস্কোপে সংকেত গ্রহণ সংক্রান্ত দীর্ঘকালীন সমস্যার সমাধান করেছেন তিনি। পরে ব্রিটেনের জড্রেল ব্যাঙ্ক মান মন্দিরের টেলিস্কপের জটিল যান্ত্রিক গোলযোগ ঠিক করেন তিনিই। বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহির বাড়িতে বসে তিনি বলেন, “দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর আমি এর পেটেন্ট পাই। তারপর থেকে স্যামসাং, ইনফোসিস, নোকিয়ার মতো সংস্থা যেমন আমার যোগাযোগ করেছে তেমনি মুম্বাইয়ের একটি সংস্থা আমার নামে কোম্পানি খুলতে চায়।” একই সঙ্গে সম্প্রতি ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড ‘মেক ইন ইণ্ডিয়া’ প্রকল্পে তাঁকে যুক্ত করতে চায় বলেও তিনি জানান। আগামী দিনে তাঁর এই কৃতিত্বের সুবিধা সারা পৃথিবীর মানুষ পাক বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *