ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের জেরে তছনছ হয়ে যায় গোটা বাড়ি। তৃণমূল নেতা সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার জেরে শনিবারের পর রবিবারও থমথমে রয়েছে গোটা এলাকা।
হাইলাইটস
- ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তেজনা তুঙ্গে
- এই দুর্ঘটনায় তৃণমূল নেতা সহ 3 জনের মৃত্যু হয়েছে
- বিস্ফোরণের জেরে শনিবারের পর রবিবারও থমথমে রয়েছে গোটা এলাকা
বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে যায় গোটা বাড়ি
উল্লেখ্য, ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু, বোমা বারুদের স্তূপে কার্যত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর পটাশপুরের মতো বিভিন্ন এলাকা ডুবেই থাকে। শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ভাই দেবকুমার মান্না ও প্রতিবেশী বিশ্বজিৎ গায়েন। আচমকা রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল উড়ে যায় বাড়ির চাল। লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। কয়েক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত বোমার আওয়াজ পৌঁছয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তিনজনের। স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও কয়েকজনকে স্থানীয় এগরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ভূপতিনগর থানার পুলিশ। তবে পুলিশ আসার আগেই তিনজনের দেহ লোপাট হয়ে যায় বলে অভিযোগ। কেউ বা কারা দেহ ওই এলাকা থেকে অন্যত্র নিয়ে চলে যায়। এরপর শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিমি দূর থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ঝলসানো দেহ মাদুর দিয়ে ঢাকা ছিল। শরীর ও পোশাক দেখেই পরিবারের লোকেরা দেহ চিহ্নিত করেন। বিজেপির তরফে অবশ্য ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
কী বলছেন মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী?
মৃত তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার স্ত্রী লতারানি মান্না বলেন, “আমি কিছুই জানি না। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাতে বিকট আওয়াজ শুনে উঠে পড়ি। চারিদিকে শুধু ধোঁয়া। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। দেওর ও প্রতিবেশী দেওরের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন পুড়ে গিয়েছে। মৃতদেহ গুলো কোথায় গেল জানি না। আমার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি।” বাড়িতে বোমা বাঁধার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। জানিয়েছেন বাইরে থেকে কেউ বা কারা তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছু়ড়েছিল।
শুরু রাজনৈতিক তরজা
এই বিষয়ে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।” স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “শাসকদলের মদতে পুলিশের সহযোগিতায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দিনের পর দিন অসামাজিক কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা নির্বিকার। প্রশাসন যদি কড়া হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দিনের পর দিন এই ধরনের অত্যাচার,অশান্তি হতেই থাকবে।” যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতি। তিনি বলেন, “শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমরা চাই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ