জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শরৎ কুমার মেটিয়া বলেন, “সিপিএম-BJPর অশুভ আঁতাত পরাজিত হয়েছে। মানুষ ওদেরকে প্রত্যাখ্যান করে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে আমরা জয়লাভ করব।”
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জোট বেঁধেছিল রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন মেরুতে থাকা বাম-BJP। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাম-BJP জোটে ধাক্কা খেয়ে উলটে পড়ে তৃণমূলের বিজয়রথ। নন্দকুমারের ওই সমবায় নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল। শাসক দলের এই বিপর্যয়ের পরই গোটা রাজ্যের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে ‘নন্দকুমার মডেল’। তৃণমূলকে হারাতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামে গ্রামে এই মডেলের ওপর আস্থা রাখা হবে কি না, সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনাও শুরু হয়।
শুধু আলোচনাই নয় ‘নন্দকুমার মডেল’-র সাফল্যের পর একের পর এক বিজেপি নেতা এর সপক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বিষ্ণুপুরের BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেছিলেন, “আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলকে হারাতে চাই। তৃণমূলকে হারাতে নিচুস্তরে অন্য দলের সঙ্গে জোট হয় তবে সমস্যার কিছু।” BJP-র তারকা মুখ মিঠুন চক্রবর্তীও প্রকাশ্য জনসভা থেকে বলেছিলেন, “তৃণমূলকে হারাতে সকলকে এক ছাতার তলায় আসতে হবে। যদিও আমার এই কথা বলার কোনও অধিকার আছে কিনা জানি না, তবুও আমি বলছি।” ‘নন্দকুমার মডেল’-কে BJP উৎসাহ দিলেও তা খারিজ করে দিয়েছিলেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। BJP-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমবায় ভোটে লড়ার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের দশ নেতাকে বহিষ্কার করেছিল সিপিআইএম।
যদিও নন্দকুমারের সমবায় নির্বাচনে জোট করে সাফল্য মিললেও মহিষাদল, তমুলকে একাধিকবার ধাক্কা খেয়েছে এই স্ট্র্যাটেজি। আজ আরও একবার খারুই গঠরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের বিশাল জয়ের পর এই মডেলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। শনিবার কাঁথির সভা থেকে অধিকারীর পরিবার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরের দিনই নির্বাচনে এই জয় নিঃসন্দেহে তৃণমূল কর্মীসমর্থকদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।