পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা নুরুল হাসান বলেন, “রবিবার ভোতারপাড় এলাকায় একটি বস্ত্র বিতরণ সভা রয়েছে। হঠাৎ করে দেখি এখানে একটা মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। হঠাৎ করে একদল লোক এসে আমাদের কটূক্তি করে। সেই সভাস্থল পরিদর্শনে এসে তৃণমূল নেতা মানস ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কয়েকজন দুষ্কৃতী পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। আমার ছেলে রোহন হাসানকেও মারধর করা হয়েছে। এই এলাকা শান্তিপূর্ণ, আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করি। গোটা ঘটনার বিষয়টি আমি জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।”
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আলমগির হাসান বলেন, “আমি এই অনুষ্ঠানের কথা জানতামই না। আমি প্রধান হওয়া সত্ত্বেও কিছু জানানো হয়নি। কম্বল দেওয়ার জন্য আমাকে কোনও টোকেনও দেওয়া হয়নি। CPIM থেকে আসা ছেলেরা টোকেন বিলি করছে। স্বাভাবিকভাবে স্থানীয় ছেলেরা এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আমরা চাই সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে।”
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “দলে কোনও গোষ্ঠী নেই, একটাই গোষ্ঠী নাম তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয়ভাবে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই ঘটনার সঙ্গে দল যুক্ত নয়, এবং এটা কোনও দলীয় ব্যাপার নয়। BJP-র বলার কিছু নেই বলে এই কথা বলছে। তাদের দল বিভিন্নভাবে বিভক্ত। নির্বাচনে আগে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই কথা বলা হচ্ছে। কোনও অন্যায় হয়ে থাকলে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।”
পার্টি অফিস ভাঙুচরকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি BJP। বর্ধমান জেলার BJP-র সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। কাটমানি, তোলাবাজি ও ভাগ বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। নুরুল হাসানের সঙ্গে মানস ভট্টাচার্যের গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিনের। পুলিশ-প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।”
