Alimuddin Street Kolkata : ১৫ বছর পার, এখনও ঝুলে আলিমুদ্দিন হামলার কেস – kolkata alimuddin attack case still pending after fifteen years


Produced by Suman Majhi | Ei Samay | Updated: 5 Dec 2022, 8:57 am

নন্দীগ্রামে কৃষক খুনের প্রতিবাদে যাওয়া কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়ার নামে অভিযোগ উঠেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দফতরে হামলার। এখনও পর্যন্ত বার বার তাঁদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।

 

Alimuddin street
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট

হাইলাইটস

  • নন্দীগ্রামে কৃষক খুনের প্রতিবাদ করতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা গিয়েছিলেন তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সদর দফতরে।
  • আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সদর দপ্তরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে।
  • 15 বছর যাবৎ আজও তাঁদের বার বার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।
এই সময়: নন্দীগ্রাম আন্দোলন যখন হচ্ছে, তখন ওঁরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। কৃষক খুনের প্রতিবাদ করতে তাঁরা গিয়েছিলেন তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সদর দপ্তরে। অভিযোগ উঠেছিল দপ্তরে হামলার। এই ১৫ বছরে বদলেছে অনেক কিছুই। শাসক বদলেছে। সে দিনের ছাত্রদের কেউ চাকরি করছেন, কেউ লেখালেখি, কেউ অধ্যাপনা, কেউ থাকেন শহরে, কারও ঠিকানা শহরের বাইরে। তবে বদলায়নি এই মামলায় বার বার তাঁদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর ছবিটা। এখনও ওই মামলার চার্জই গঠন হয়নি। ফলে শুরু হয়নি বিচারপ্রক্রিয়াও।

Presidency University Kolkata : হাঁড়িকুরিও হাতছাড়া ক্যান্টিনহারা প্রমোদদার
২০০৭-এর জানুয়ারিতে নন্দীগ্রামে তিনজনের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সামনে এসে জমায়েত করেছিলেন যাদবপুর-প্রেসিডেন্সির একদল পড়ুয়া। ছাত্রছাত্রী সংহতি মঞ্চ নামে একটি মঞ্চের ডাকে এই জমায়েত থেকে হামলার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের দপ্তরে। গ্রেপ্তার করা হয় ১১ জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। বেশির ভাগই হামলা, বেআইনি জমায়েত, হিংসা ছড়ানোর ধারায়। এর পরে অনেক কিছু বদলেছে। রাজ্যে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে বদলায়নি ওই মামলায় অভিযুক্তদের কোর্টের দরজায় দরজায় ঘোরার ছবিটা। সে দিনের ছাত্রনেতারা এখন কাজ ফেলে, অফিস-কাছারি ছুটি নিয়ে ১৫ বছর ধরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরাই দিয়ে চলেছেন।

Umar Khalid : দিল্লি হিংসা মামলায় মুক্তি, তাও কেন জেলবন্দিই থাকবেন উমর খালিদ?
তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের সক্রিয় ছাত্রনেতা জিষ্ণু দাশগুপ্ত যেমন এই মামলার একজন অভিযুক্ত। এখন তিনি পড়ান শ্রীরামপুর কলেজে। জিষ্ণুর কথায়, ‘এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আমরাই চাইছি দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হোক। আজও আমার পাসপোর্ট জমা। কোনও কনফারেন্সে বা প্রয়োজনে ডাক এলেও বিদেশে যেতে পারি না।’ সে দিনের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রনেতা অভিজ্ঞান সরকারও এখন ছাত্র পড়ান। অভিজ্ঞান বলেন, ‘জানি না কবে! আর কতদিন লাগবে। আজও চার্জগঠনই হলো না।’ এমনই একটি মামলায় গত ১৫ বছর ধরে আদালতে অভিজ্ঞানের সঙ্গে ঘুরছেন অভিষেক মুখোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এজেসি বোস রোডের টাটা মোটর্সের একটি শোরুমে হামলা চালানোর। ২০০৬-এর ঘটনায় এখনও চলছে বিচারপ্রক্রিয়া। তাতে হাজিরা দিতে দিতে ক্লান্ত অভিষেক বলেন, ‘আসলে সরকারে যেই থাকুক। রাষ্ট্র প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ঠেকাতে এমন মামলা জিইয়ে রাখতে চায়।’ সিপিএম নেতা শমিক লাহিড়ীর খোঁচা, ‘সে দিন যাঁদের কথায় হামলা করতে এসেছিলেন, এখন তাঁরা সরকারে থেকেও নীরব কেন?’

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *