বীরভূম জেলায় পাথর বালি ও কয়লা বোঝাই গাড়ি থেকে টাকা তোলার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। গাড়ি মালিকদের একাংশের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, গাড়ির নথি ঠিক থাকলেও পুলিশকে টাকা না দিলে গাড়ি যেতে দেওয়া হয় না। টাকা না দিলে চলে পুলিশি অত্যাচার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার রাত্রে ইলামবাজার দিয়ে একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার যাচ্ছিল। বৈধ কাগজপত্র ও চালান থাকা সত্ত্বে গাড়ি আটকায় ইলামবাজার থানার পুলিশ। চালক ও খালাসির কাছে টাকা চাওয়া হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় গাড়ি চালক শেখ ইসমাইল ও খালাসি শেখ নূর আলমকে (১৮) বেধড়ক মারধর করে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।
গাড়ি চালক শেখ ইসমাইলের দাবি, “যাবতীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আমাদের কাছে ৫০০ টাকা চেয়েছিল ইলামবাজার থানার এক পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু, ৫০ টাকা দেওয়ার পর গাড়ি থেকে নামি তাঁদের ব্যাপক মারধর করা হয়। মারধরের সময় লুকিং গ্লাসের কাচ ভেঙে খালাসির চোখে ঢুকে যায়। চোখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে।” নিহত খালাসির পরিবারের দাবি, চোখ নষ্ট হয়ে যাওযার কারণে পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য এখন কাজ করতে পারবেন না। তাই তাঁকে চাকরি দিতে হবে।
নূর আলমের পরিবার ও তাঁর গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের মারে তাঁর চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গুরতর আহত অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে আহত খালাসির গ্রাম রসাইপুরের বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। SDPO বোলপুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।