CPIM Party : জলপাইগুড়িতে উলটপূরাণ, তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে লাল ঝান্ডা ধরলেন শতাধিক কর্মী – more than hundred tmc and bjp workers joined at cpim in banarhat block


West Bengal News জোড়াফুল হোক বা পদ্ম, দুই শিবিরের দলবদলের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে। এবার উলটপূরাণ। তৃণমূল, BP ছেড়ে লাল ঝান্ডা ধরলেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী। বানারহাট ব্লকে (Banarhat Block) বামেদের আয়োজিত একটি মিছিলে CPIM-এ যোগদান স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) এবং BJP দলের কর্মীদের।

Trinamool Congress : বাগনানে শাসকদলের শক্তি বৃদ্ধি, প্রায় পাঁচশো নেতা-কর্মীদের যোগদান তৃণমূলে
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) আগে শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া শাসক, বিরোধী উভয় শিবির। তৃণমূল এবং BJP যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে দলবদলের ঘটনা সাম্প্রতিককালে রাজ্যে চমকপ্রদ নয়। তবে এবার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারে আসীন দুই দলের মোহভঙ্গ করে বাম শিবিরে নাম লেখালেন কয়েকশো কর্মী, সমর্থক। গ্রাম দখলের লড়াইয়ের আগে যা নজিরবিহীন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। রবিবার রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে তিতিবিরক্ত কর্মী, সমর্থকরা এদিন CPIM-এ যোগদান করেন।

Nisith Pramanik Minister : নিশীথ প্রামাণিকের গ্রেফতারির দাবি! ঢাক ঢোল পিটিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার তৃণমূলের
এদিন বানারহাট ব্লকে (Banarhat Block) গয়েরকাটার প্রধান পাড়ায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদত্যাগ দাবি সহ গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে বাম শিবির। আর সেই মিছিল থেকেই যোগদান করেন প্রায় শতাধিক তৃণমূল ও BJP সমর্থকের। এদিনের মিছিলে ঢেঁড়া পিটিয়ে এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদত্যাগের দাবিও করা হয়। বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা প্রধানপাড়া এলাকায় বামফ্রন্টের মিছিল থেকে প্রধানের পদত্যাগ দাবির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দ্র রায়। স্থানীয় প্রায় পাঁচ শতাধিক মহিলা পুরুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ঢোল এবং ঢেঁড়া পিটিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয় এলাকায়।

Minakshi Mukherjee : ‘কুঁজোর চিৎ হয়ে শোওয়ার ইচ্ছে…’ রাম-বাম জোট নিয়ে আক্রমণ মীনাক্ষীর
মিছিলে যোগদানকারীদের মধ্যে থেকে অনেকেই বলেন, রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) দুর্নীতি এবং কেন্দ্রীয় শাসক দলের জনবিরোধী নীতির কারণেই লাল ঝান্ডার তলায় আশ্রয় নেওয়ার রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, ‘দলবদলের’ বিষয় নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মানসরঞ্জন ঠাকুর বলেন, “এসব সস্তার রাজনীতি করে লাভ নেই। এই মুহূর্তে আমাদের সরকার গ্রামে গ্রামে যে উন্নয়ন করেছে, তাতে মানুষ এমনিই খুশি।” তিনি জানান, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের দল থেকে এই ধরনের দলবদলের কোনও ঘটনা ঘটেনি সেখানে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা। তবে স্থানীয় বাম নেতৃত্বের দাবি, দুই দলের চেহারা মানুষ দেখে নিয়েছেন। সে কারণেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections) উচিত শিক্ষা দিতে প্রত্যেকে বাম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে অন্যান্য জায়গায় একই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *